হার্ভে জে অল্টার, মাইকেল হিউটন ও চার্লস এম রাইস (Photo Credits: Twitter)

স্টকহোম, ৫ অক্টোবর: হার্ভে জে অল্টার, মাইকেল হিউটন ও চার্লস এম রাইস হেপাটাইটিস সি ভাইরাস (Hepatitis C Virus) চিহ্নিত করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (Noble Prize) পেতে চলেছে। নোবেল কমিটির প্রধান থমাস পার্লম্যান স্টকহোমে এই পুরস্কারের ঘোষণা করেন। এই ভাইরাসের আকার ৫৫-৬৫ ন্যানোমিটার। পজিটিভ-সেন্স সিঙ্গল স্ট্র্যান্ডেড আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) ভাইরাস। ফ্ল্যাভিভিরিডি পরিবারের এই ভাইরাস হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমার জন্য দায়ী।

হার্ভে জে অল্টার মার্কিন ভাইরোলজিস্ট। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের ওয়ারেন গ্র্যান্ট ম্যাগনুসন ক্লিনিকাল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান। হেপাটাইটিস এ ও হেপাটাইটিস বি নিয়েও তাঁর গবেষণা রয়েছে। ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি অল্টার তাঁর গবেষণায় দাবি করেছিলেন, হেপাটাইটিস শুধুমাত্র এ ও বি ভাইরাস দ্বারাই বাহিত হয় না। তখন তাঁর গবেষণায় বলেছিলেন নন-এ ও নন-বি হেপাটাইসিসের ট্রান্সমিশনও হয়। পরে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস চিহ্নিত করেন তিনি। মাইকেল হিউটন ১৯৮৯ সালে কুই-লিম চু, জর্জ কুও এবং ড্যানিয়েল ব্র্যাডলের সঙ্গে যৌথভাবে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস চিহ্নিত করেছিলেন তিনি। চার্লস এম রাইস আমেরিকান ভাইরোলজিস্ট। তিনিও হেপাটাইটিস সি ভাইরাস শনাক্ত করেন তিনি। আরও পড়ুন, পুলওয়ামার প্যাম্পোর বাইপাসে সিআরপিএফের টহলদারি দলের ওপর গুলি চালালো জঙ্গিরা; জখম ৩ ও মৃত ২ সেনা

হেপাটাইটিস সি হল ভাইরাল ইনফেকশন। সংক্রামিত রক্ত থেকেই হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস ছড়ানোর ভয় থাকে। ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ থেকেও সংক্রমণ ছড়ায়। বহু থ্যালাসেমিয়া এবং হিমোফিলিয়া রোগী এর শিকার হন। দীর্ঘদিন হেপাটাইটিস-সি চিকিৎসা না করিয়ে রেখে দিলে তার জের হতে পারে মারাত্মক।