ভাদোদরা, ৫ এপ্রিলঃ ভাদোদরায় গাড়ি দুর্ঘটনার অভিযুক্ত রক্ষিত চৌরাসিয়া (Rakshit Chaurasia) মত্ত অবস্থায় ছিলেন না সে তথ্য আগেই প্রমাণিত হয়েছে। তবে মত্ত না থাকলেও অভিযুক্ত রক্ষিত গাঁজার (Marijuana) নেশায় ছিলেন, শনিবার সেই তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে। গাঁজার নেশায় উন্মত্ত হয়েই গুজরাটের (Gujarat) ভদোদরায় করেলিবাগ এলাকায় ব্যস্ত রাস্তায় একের পর এক পথচারীকে ধাক্কা মারেন রক্ষিত। তাঁর গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন বছর ২০-র এক তরুণী। আহত হন অনেকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গান্ধীনগরের ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (এফএসএল) প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত রক্ষিতের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার পর জানা গিয়েছে সেদিন তিনি মত্ত ছিল না বরং গাঁজা সেবন করেছিল। তবে কেবল রক্ষিতই নন, তাঁর সঙ্গীদেরও রক্তের নমুনা পরীক্ষায় গাঁজার উপস্থিতি মিলেছে। তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ১৯৮৫ সালের নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও ১৯৮৮ সালের মোটরযান আইনের ১৮৫ ধারায় চৌরাসিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই ধারায় বলা আছে, অ্যালকোহল বা মাদকদ্রব্যের প্রভাবে গাড়ি চালানো একটি ফৌজদারি অপরাধ।
গত ১৪ মার্চ রাতে হোলি উৎসবের মাঝে গুজরাটের ভদোদরায় করেলিবাগ এলাকায় ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর অভিযুক্তের প্রতিক্রিয়া ছিল আরও সাংঘাতিক। গাড়ি চালিয়ে একের পর এক পথচারীকে ধাক্কা মারেন রক্ষিত চৌরাসিয়া। এরপর গাড়ি থেকে নেমে অভিযুক্ত বলতে শুরু করেন, 'আরও একবার হয়ে যাক'।
পুলিশি হেফজতে রক্ষিত জানান, তিনি মদ্যপান করে সেদিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। কিন্তু অভিযুক্তের কথায় বিশ্বাস হয়নি পুলিশের। তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় গান্ধীনগরের ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। যদিও পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত যুবক স্বীকার করেন, সেদিন ভাং খেয়েছিলেন তিনি। তবে ভাংয়ের সঙ্গে যে গাঁজাও সেবন করেছিলেন তা এফএসএল রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে।