Papua New Guinea Earthquake: পর পর জোড়া ভূমিকম্প আর তার জেরে মায়ানমারের চিত্র বদল। ভূমিকম্প ধ্বংসলীলা চালিয়েছে সে দেশে। এবার সেই একই তীবতায় নড়ে উঠল পাপুয়া নিউ গিনি। স্থানীয় সময়, শনিবার সকালে জোরালো কম্পন দ্বীপরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৯। তীব্র কম্পনের জেরে প্রাথমিকভাবে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। যদিও তা পরে বাতিল করা হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে। এর কেন্দ্রবিন্দু ছিল, নিউ ব্রিটেন দ্বীপের কিম্বে শহর থেকে ১৯৪ কিলোমিটার (১২০ মাইল) পূর্বে। ভূমিকম্পের তীব্রতা সাংঘাতিক ছিল। যার জেরে তড়িঘড়ি পাপুয়া নিউ গিনিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামির আশঙ্কা কেন্দ্র করে সতর্কতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
দ্বীপরাষ্ট্রের নিউ ব্রিটেন দ্বীপে ৫,০০,০০০ এরও বেশি মানুষ বাস করে। তাই ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। তাই ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পরপরই সুনামির সতর্কতা জারি করে দেওয়া হয়। নিকটবর্তী সলোমন দ্বীপপুঞ্জে ০.৩ মিটার উচ্চতার ঢেউ সম্পর্কে সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। তাও প্রত্যাহার হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। পাপুয়া নিউ গিনির নিকটতম প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডেও ভূমিকম্পের জেরে কোন ক্ষয়ক্ষতি কিংবা সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই বলেই নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তীব্র মাত্রার জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar Earthquake)। রিখটার স্কেলে কম্পন দুটির মাত্রা ছিল ৭.৭ এবং ৬.৮। এরপরও চলতে থাকে লাগাতার আফটারশক। সেই ধ্বংসলীলায় দেশটির প্রায় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মায়ানমারের ভূমিকম্পের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী শহর ব্যাঙ্ককেও (Bangkok)। সেখানেও ভেঙে পড়েছে বহুতল। চাপা পড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতেও অনুভূত হয়েছে মায়ানমারের কম্পন।