কলকাতা, ১৫ সেপ্টেম্বর: গত শনিবার রাতেই জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আরজি করের (RG Kar Medical College and Hospital) প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানা তৎকালীন ওসি অভিজিত মণ্ডলকে। দুজনের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল তথ্য প্রমাণ লোপাট ও কর্তব্যের গাফিলতি। রবিবার অভিজিতকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য শিয়ালদহ আদালতে সেকেন্ড জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক পামেলা গুপ্তের এজলাসে তোলা হয় অভিজিতকে। সেই সময়ই সিবিআই এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দাবি করা হয়। তাঁদের আন্দাজ দেহ উদ্ধারের পর থেকেই দুই পক্ষের চক্রান্তেই তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হয়ছিল।
এদিন আদালতে সিবিআই দাবি করে, দেহ উদ্ধারের পর অভিজিত ও সন্দীপ দুজনের মধ্যে ফোন দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা হয়। কল রেকর্ডস ও সিডিআরের মাধ্যমে তাঁদের কথোপকথন হয়ছিল সেটা প্রমাণিত। পাশাপাশি আরেকটি বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে সিবিআই। সেটি হল ঘটনার দিন সকাল ১০টা ০৩ নাগাদ টালা থানায় হাসপাতাল থেকে খবর যায়, তারপর কেন ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। কারণ টালা থেকে আরজি করের দুরত্ব এতটা নয়। আর এই সময়ের ব্যবধানে ক্রাইম সিনে একাধিক লোকের আনাগোনাও হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এমনকী দেহ ময়নাতদন্ত করে বের করে নিয়ে আসার পর তড়িঘড়ি কেন দাহ করানো হল সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিন সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে দেহ সৎকার করার আগে তাঁরা পুলিশকে দ্বিতীয়বারের জন্য ময়নাতদন্ত করার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু পুলিশ সেই দাবি নাকি খারিজ করে দিয়েছিল। আর তারপরেই দেহ মর্গ থেকে বের করে দাহ করানোর জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ফলে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী আধিকারিকরা আন্দাজ করছেন যে এই ঘটনার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।