বাংলায় একাধিক দুর্নীতিকাণ্ডের জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের অসংখ্য নেতা মন্ত্রী জেলবন্দি রয়েছে। রাজ্যে হামেশাই কেন্দ্রীয় সংস্থা শাসক দলের বিধায়ক, সাংসদ বা ঘনিষ্ঠজনেদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। সবমিলিয়ে ভোটের আগে কেন্দ্রের চাপে অতিষ্ট রাজ্য সরকার। একই অবস্থা দিল্লি, ঝাড়খণ্ড সহ দেশের বিরোধী দলের ক্ষমতাধীন রাজ্যগুলির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং হেমন্ত সোরেনের ওপর যে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল সেই নিয়েও প্রতিবাদ করেন।

তবে এই বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর সমালোচনা করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি ( Adhir Ranjan Choudhary)। তিনি বলেন অরবিন্দ বা হেমন্তের সঙ্গে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে তুলনা না করেন। কারণ তাঁদের মিথ্যা দুর্নীতি মামলায় ধরা হয়েছে কিন্তু তৃণমূলের নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নজরে তদন্ত হচ্ছে। ফলে কিছু ঘটেছে তার ইঙ্গিত পেয়েছে বলেই আদালত এই তদন্ত জারি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে ইডি, সিবিআই, এনআইএ সহ একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সির দফায় দফায় তল্লাশির বিরোধীতা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এই নিয়ে কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন শান্তনু সেনদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।