কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর : টালা ব্রিজের (Tala Bridge) স্বাস্থ্য অত্যন্ত বেহাল। তাই এই ব্রিজ ভেঙে ফেলা হোক। এই মতই দিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, পুরোনো ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ তৈরি করাই ভালো। এখন নতুন ব্রিজ তৈরি করতে সময় লাগবে ৩ বছর। এই সময়কালে যান চলাচলের নতুন রাস্তা কী হবে? সেই সবকিছু খতিয়ে দেখেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, টালা ব্রিজের দুর্বল অংশ ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেছে রাইটস (RITES)। কিন্তু রাজ্য সরকার আরও একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার পরামর্শ নিতে চায়। আগামীকাল মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরই এনিয়ে চৃড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর থেকেই নিয়ম করে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে নিত্য যাত্রীদের। এমনিতেই গত শনিবার থেকে টালা ব্রিজে বন্ধ হয়েছে পণ্যবাহী যান চলাচল। পূর্ত দফতরের তরফে শুক্রবার এমনটাই জানানো হয়েছে। শহরের আরও কয়েকটি সেতুর মতো টালা সেতুর অবস্থাও বেহাল। পুরোনো হওয়াতে ভারবহন ক্ষমতা কমেছে। তাই এবার হাইট বার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিটি রোডের ওপর টালা ব্রিজে। মঙ্গলবার পূর্ত দফতরের (PHE) তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে একথা জানানো হয়। পূর্ত দফতর জানায়, টালা ব্রিজ দিয়ে ভারী যান চলাচলের ফলে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। থাকছে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, ৮ ফুট উঁচু হাইট বার বসানো হবে। তার জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২৬ লাখ। এই হাট বারের নীচ দিয়ে শুধুমাত্র ছোটো গাড়ি যেতে পারে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে টালা ব্রিজে বাস চলাচল বন্ধ করতে পারে সরকার। বালি ব্রিজ দিয়ে ডানলপ হয়ে কলকাতা শহরে পণ্যবাহী যান ঢোকার পথও বন্ধ হবে। আরও পড়ুন: সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের নামে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, জাতীয় সংহতি রক্ষার্থে পুরস্কার দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
এরপরই টালা ব্রিজে গাড়ি চলবে কি না, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ব্রিজ পরিদর্শনে যান গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স, রাইটস, রেল ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। ব্রিজ পরিদর্শনের পর চার সংস্থার প্রতিনিধিরাই নবান্নে রিপোর্ট দেয়। রিপোর্টে ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ তৈরির পক্ষে মত দেন তাঁরা। এদিকে, টালা ব্রিজের নীচে বহু মানুষের বাস। তাঁদের রেল ইয়ার্ডের পিছনে খালপাড়ে জায়গা দেওয়া হবে বলে খবর। পাশাপাশি, সাহিত্য পরিষদ স্ট্রিটে একটি বাড়িও দেখা হয়েছে। সেখানেও পুনর্বাসন দেওয়া হতে পারে।