নতুন দিল্লি, ৩ ডিসেম্বর: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের (Bulbul) জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার (West Bengal) বহু জেলা। গত মাসের ৯ তারিখ রাজ্যের বুকে আছড়ে পড়ে ভয়ঙ্কর ওই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। লন্ডভন্ড হয়ে যায় দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার উপকূলীয় এলাকার বহু অংশ। ছারখার হয়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ। মৃত্যুও হয় বেশ কয়েকজনের। এরপরই টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। একই আশ্বাস ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও, আজ পর্যন্ত এক পয়সা কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য পেল না রাজ্য।’ এরপরেই আজ মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই কেন্দ্র ঘোষণা করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যকে ৪১৪ কোটির সাহায্য দেওয়া হবে।
সেই সঙ্গে আরও ৫৫২ কোটি টাকার অর্থ সাহায্যের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, সাহায্য পাবে ওড়িশাও (Odisha)। এই সাহায্য দেওয়া হবে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকেই। গতকাল লোকসভায় 'বুলবুল' এর আলোচনা দাবি করে নোটিশ দেওয়া হয়। ২৩ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট দেওয়া হয়। তিন জেলার প্রায় ১৪ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমির চাষের খতি হয়েছে। রাজ্য জুড়ে ১৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হয়। আরও পড়ুন: Kolkata: 'সকালবেলা মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সামনে দাঁড়ালে কর্মের অনুপ্রেরণা পাবেন', বললেন হাসনাবাদের বিডিও
Centre releases Rs 414.90 crores and Rs 552 crores to the cyclone Bulbul affected states of West Bengal and Odisha respectively under State Disaster Response Fund (SDRF).
— ANI (@ANI) December 3, 2019
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঝড়ের পরপরই কাকদ্বীপে (kakdwip) যান মুখ্যমন্ত্রী। হেলিকপ্টারে গোটা এলাকা দেখেন তিনি। এছাড়া ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের কাজ খতিয়ে দেখে প্রশাসনিক বৈঠকও সারেন তিনি। সরকারের তরফে দুর্গতদের সবরকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস্ত করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ বন্টনে রাজনীতি দূর করতে টাস্ক ফোর্স (Task Force) গঠন করা হয়।