সুন্দরবনের মধু বা উত্তরবঙ্গের কালোনুনিয়া চালের পর রাজ্যের মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। ভৌগোলিক নির্দেশক বা জি আই ট্যাগ পেলো ‘বাংলার মসলিন’।
সোমবার কেন্দ্রের জি আই কর্তৃপক্ষের তরফে এ খবর জানানো হয়। ২০১৯ সালে এই স্বীকৃতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ আবেদন করে। এ বিষয়ে রাজ্যের দীর্ঘ লড়াইয়ে জয় এনে দিলো এই স্বীকৃতি।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মসলিন তৈরি হলেও সূক্ষ্ম মসলিনের জন্য বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গ।অন্যান্য মসলিন যেখানে মাত্র ১৫০ কাউন্টের, সেখানে বাংলার মসলিনের অধিকাংশই ৩০০ থেকে ৫০০ কাউন্টের।এ রাজ্যের মসলিন এতটাই সূক্ষ্ম যে, আংটির ভিতর দিয়েও গলে যায় ; আবার কখনও রেখে দেওয়া যায় ছোট্ট দেশলাই বাক্সের মধ্যেও !
বাংলার মসলিন এই স্বীকৃতি পাওয়ায়, এর উৎপাদনকারীএবং এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকল ব্যক্তি বিশেষভাবে উপকৃত হবেন বলে, রাজ্যের বিজ্ঞানও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানিয়েছেন।উল্লেখ্য,মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ববর্ধমান এ রাজ্যের মসলিনের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র।