প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Piabay)

চৈত্রের শেষ থেকে যে হারে গ্রীষ্মের পারদ চড়েছিল তাতে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়েছিল বঙ্গবাসীর। উত্তরবঙ্গের দু-তিনটে জেলা বাদে গোটা রাজ্য বৈশাখ জুড়ে পুড়েছে। কোথাও আবার তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে ৪৭ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিল। টানা কয়েক সপ্তাহের তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে নিস্তার দিয়ে সোমবার স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে রাজ্যে। বৈশাখের শেষে এসে দেখা দিল কালবৈশাখী। বিকেল থেকে ভিজতে শুরু করেছিল দক্ষিণ এবং গাঙ্গেয় বঙ্গের জেলাগুলো। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি সেই সঙ্গে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া আর বিদ্যুতের ঝলকানি। কয়েক ঘণ্টার স্বস্তির বৃষ্টি বাংলার ১২টি পরিবারে ডেকে আনল দুর্ভোগ। এদিন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এছাড়া পাঁচিল ধসে এবং গাছ পড়ে আরও তিন জন মারা গিয়েছেন বলে খবর। এক রাতের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ১২ জনের মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

মঙ্গলবার বেলায় রাজ্যের ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, সোমবার রাতের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৬ জন পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। ২ জন পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ২ জন পুরুলিয়ার। এছাড়া নদিয়ায় পাঁচিল ধসে দুজনের প্রাণ গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ঝড়ের মাঝে এক ব্যক্তির উপর গাছ পড়ে তাঁর প্রাণ গিয়েছে।

মমতার টুইট... 

মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দুর্গতদের উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে ত্রাণ সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় বাংলার ১২ জন মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো (Mamata Banerjee)।