লন্ডন: ফুটবল বিশ্ব লিভারপুল (Liverpool)- কে ডাকে ওয়ান্ডার কামব্যাক নামে। আসলে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্য়শালী এই ক্লাবের এমন কিছু কামব্যাকের রেকর্ড আছে যা চোখে দেখলেও অনেক সময় অবাস্তব মনে হয়। ২০০৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (UEFA Champions League) ফাইনালে যেমন। ইস্তানবুলে অবিশ্বাস্য সেই রাতে হাফ টাইমে এসি মিলান (AC Milan) ৩-০ গোলে এগিয়েছিল লিভারপুলের বিরুদ্ধে। ফাইনালের ৫৩ মিনিট পর্যন্ত তিন গোলে এগিয়ে এসি মিলান। সবাই নিশ্চিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা এবার মিলানেই যাচ্ছে। কিন্তু এরপরই মহানাটক। ম্যাচের ৫৪ থেকে ৬০ মিনিট-মানে ৬ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোল শোধ করে ম্যাচকে নাটকীয় অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন জেরাড-রা। তারপর টাইব্রেকারে চ্যাম্পিয়ন হয় লিভারপুল। তারপর থেকে বিশ্ব ফুটবলে অবিশ্বাসের আরেক নাম হয়ে যায় লিভারপুল। সেই লিভারপুলের সামনে আবার সেই ০-৩ অবস্থা।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ন্যু ক্যাম্পে মেসির বার্সেলোনার কাছে ০-৩ গোলে হারের পর লিভারপুলের কাছে সেই অবিশ্বাসকে ছোঁয়ার লড়াই। তবে আগামী মঙ্গলবার রাতে অ্যানফিল্ডে মেসিদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠবে লিভারপুল, এমন আশাটা সেখানকার অতি বড় ভক্তরা প্রকাশ্যে করছেন না। মেসিরা এমন ফর্মে আছেন যে তাদের তিন গোলে হারানোর কথা ভাবা যায় না। তবে এখানেই লিভারপুলের রেকর্ড। অবিশ্বাস যেখানে উঁকি মারে, লিভারপুল সেটাকে টেনে নিয়ে ঘরে তোলে। কথাটা এসি মিলানের সমর্থকরা জানেন, আর্সেনালের সমর্থকরাও জানেন। এবার কি বার্সার....
প্রথম লেগের ম্যাচ রিপোর্ট- অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠে নেমেছিল লিভারপুল। খেলার ছবি দেখলে মনে হবে ঘরের মাঠেই হয়তো তারা খেলছে। ম্যাচের প্রথমভাগ থেকেই দাপট। দুই প্রতিপক্ষ এই মুহূর্তে ইউরোপের অন্যতম সেরা দুই দল। ফলে আক্রমণ প্রতি-আক্রমণ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিছুটা খেলার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি গোল বার্সেলোনার। সুযোগসন্ধানী সুয়ারেজ দেরি করেননি বল জালে ঢোকাতে। দলে মেসির মতো ফুটবলার থাকলে চিন্তা কীসের। মাত্র কয়েক মিনিটের স্পেলে বার্সাকে ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে দিলেন তিনি। ৭৫ মিনিটে তাঁর প্রথম গোল। সুয়ারেজের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে সেই বলকে ফলো করে গোল। এর মিনিট সাতেকের মধ্যে ফ্রিকিক পায় বার্সা। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া বাঁ-পায়ের শটে দুরন্ত গোল মেসির। ক্লাব কেরিয়ারে ৬০০ গোল করেন।