বাবার সঙ্গে জ্যোতি (Photo Credit: ANI)

বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা কিশোরী জ্যোতিকে (Cycle Girl Jyoti Kumari)  মনে আছে নিশ্চয়? গতমাসে অসুস্থ বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে যে বাড়ি ফেরার জন্য ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা প্যাডেল করেছিল। সেই অসম সহনশীল কিশোরীর সুন্দর মনের পরিচয় পেল বিশ্ব। বাবাকে লকডাউনের মধ্যে এতটা রাস্তা সাইকেলে চাপিয়ে এনে যে কৃতিত্বের নজির রেখেছিল, সেজন্য পাওয়া আর্থিক পুরস্কার খরচ করল পিসির বিয়েতে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, নিজের পাওয়া পুরস্কারের টাকায় পিসিকে পাত্রস্থ করল ওই কিশোরী। এই ঘটনাই প্রমাণ করে জ্যোতি শুধু আত্মবিশ্বাসী বা জেদি নয়, সে দয়ালুও বটে। টাকা পাওয়ার পর জ্যোতি বাবাকে বলে, তারা আগেও গরিব ছিল। এখন তো তবু অনেক সুযোগ আসছে। তাই এই টাকা দিয়ে পিসিকে সহযোগিতা করা উচিত।

দ্বারভাঙার এই কিশোরী মনের দিক থেকে এতটাই মহান যে যখন আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ পেল তখনও সে ভোলেনি মানুষের প্রয়োজনীয়তার কথা। টাকাকড়ি আসার পর শুধু নিজের কথা নয় প্রিয়জনদের উন্নতির কথাও ভেবেছে সে। ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেলে বাবাকে দিল্লি থেকে নিয়ে বিহারে ফিরেছে জ্যোতি, এই লকডাউনেই। তার পরেই সেই প্রচারের আলোয় চলে আসে। এই কাজের জন্য পাওয়া পুরস্কারের টাকায় দ্বারভাঙার শ্যামা মায়ের মন্দিরে কবিতা পিসির বিয়ের আয়োজনও করে ফেলে ওই কিশোরী। আরও পড়ুন- WB CM Mamata Banerjee: বক্তার তালিকায় নাম নেই, প্রধানমন্ত্রীর কোভিড সংক্রান্ত ভিডিও বৈঠকে থাকছেন না মমতা ব্যানার্জি?

পুরস্কারের টাকা ভাল কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাবাকে গর্বিত করেছে জ্যোতি। পিসির বিয়ে দিতে যা যা প্রয়োজন ছিল তা জ্যোতি কেনার ব্যবস্থা করে বাবাকে সহযোগিতা করেছে। লকডাউনের জেরে দিল্লিতে কর্মক্ষেত্রেই আটকে পড়েন পরিযায়ী শ্রমিক বাবা। অসুস্থও হয়ে পড়েন। শেষমেশ সাইকেলে বাবাকে নিয়ে ১২০০ কিলোমিটারি পাড়ি দিয়ে বিহারের দ্বারভাঙার বাড়িতে ফেরে জ্যোতি কুমারী। সেই সময় থেকেই দেশের প্রচার মাধ্যমের নজরে পড়ে যায় বছর ১৫-র কিশোরী। বিদেশে পৌঁছা জ্যোতির খবর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প নিজে জ্যোতির ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।