বুধবার দুপুরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটল নদিয়ার চাপড়ায় (Chapra)। বাসের রেষারেষির কারণে অঙ্গহানি ঘটল দুই যাত্রীর। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে, যাঁর হাত কাটা গিয়েছে, সেটি আর জোড়া লাগানো যায়নি। অন্যদিকে আরেকজনেরও কাটা হাত বাদ গিয়েছে। ঘাতক বাসের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে চাপড়া থানা পুলিশ। যদিও বাস বা বাসের চালক কাউকেই এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানা যাচ্ছে, বুধবার চাপড়ার এলাকার সীমানগর এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে যাত্রী নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় পেছন থেকে একটি বাস ওভারটেক করে। তখনই অপর বাসটির ধারের ধারালো অংশে কেটে বাইরে পড়ে যায় একটি বাস। অপরজনের হাস কনুই থেকে কেটে ঝুলে ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কাটা হাত রাস্তায় পড়ে লাফাচ্ছিল। আহতদের নাম অসিত দাস, বয়স ৫০ এবং সনাতন হালদার, বয়স ৬৫। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতাতে স্থানান্তরিত করা হয়।
জানা যাচ্ছে, বাসটি কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সেই সময়ই ঘটনাটি ঘটে। বাসের মধ্যে থাকা যাত্রীরা জানিয়েছেন, দুই ব্যক্তিই জানলা বাইরে হাত বের করেছিলেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি এভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটবে। দুজনের মধ্যে সনাতনের বাড়ি শোনপুকুর এলাকায় এবং অসিতের বাড়ি ডোমপুকুরে। ঘটনার জানাজানির পর তাঁদের বাড়ির লোকজনেরাও হাসপাতালে এসেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।