ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য, নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি কিছু বিশেষ ঘরোয়া প্রতিকার ত্বকের জন্য উপকারী। শীতকালে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে বাতাসের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়, যার কারণে ত্বকের আর্দ্রতা দূর হয় এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শুষ্কতা বৃদ্ধির ফলে ব্রণ, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের জন্য বাদাম তেল খুবই উপকারী, কারণ এটি ত্বকে সঠিক আর্দ্রতা প্রদান করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সারারাত মুখের ত্বকে বাদাম তেল লাগিয়ে রাখা উচিত।
নারকেল তেলে রয়েছে ত্বক নরম করার বৈশিষ্ট্য। এটি ত্বকের কোষগুলির মধ্যবর্তী স্থানগুলিকে নরম করার উপাদানে পূর্ণ। নারকেল তেলে থাকা প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেট এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশগুলিতে প্রতিদিন নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। নারকেল তেলের আরেকটি সুবিধা হল এটি অন্য কিছুর সঙ্গে মেশানোর প্রয়োজন হয় না। সরাসরি ত্বকে নিয়মিত ব্যবহারের জন্য নারকেল তেল সম্পূর্ণ নিরাপদ।
মধু একটি আর্দ্রতা-প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত। হিউমেক্ট্যান্ট ত্বক থেকে আর্দ্রতা হ্রাস হওয়া রোধ করে, যা শীতকালে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মধু মুখের ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে, এটি ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, মধু একটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর, এটি মৃত ত্বকের কোষ অপসারণ করে ত্বক নরম রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।