নয়াদিল্লি, ২৮ এপ্রিল: প্লাজমা থেরাপি (Plasma Therapy)। করোনা-চিকিৎসায় (Corona Treatment) প্লাজমা চিকিৎসা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছিল। কিন্তু সেই থেরাপি নিয়েই এবার আশঙ্কা প্রকাশ করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লাভ আগরওয়ালের কথায়, প্লাজমা থেরাপি এখনও পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই থেরাপি আদৌ কতটা সঠিক। সেই সংক্রান্ত এখনও যথেষ্ট প্রমাণ মেলেনি। প্লাজমা-সহ অন্য কোনও থেরাপি আদৌ কতটা কার্যকর করোনা-চিকিৎসায়। সেটি যাচাই করে দেখতে ইতিমধ্যেই জাতীয় স্তরে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এমনটাই জানিয়েছেন লাভ আগরওয়াল।
Plasma therapy isn't a proven therapy. It's still in experimental stage, right now ICMR is doing it as an experiment to identify&do additional understanding of this therapy. Till it's approved no one should use it,it'll be harmful to patient&illegal: Lav Aggarwal, Health Ministry pic.twitter.com/MFjgpWyb25— ANI (@ANI) April 28, 2020
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নোত্তরে তিনি জানান, প্লাজমা থেরাপি এখনও পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে স্তরে রয়েছে। ICMR, প্লাজমা থেরাপি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত করোনা চিকিৎসায় এর ব্যবহার সরকারিভাবে সিলমোহর পড়েনি। যতক্ষণ না এই পরীক্ষা সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততদিন এই করোনা-রোগীর উপর এই থেরাপি ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
Until ICMR concludes its study & a robust scientific proof is available, Plasma therapy should be used only for research or trial purpose. If plasma therapy is not used in proper manner under proper guideline then it can also cause life threatening complications: Lav Aggarwal,MHA https://t.co/zz9nBRRztg— ANI (@ANI) April 28, 2020
আগরওয়াল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, গবেষণা কিংবা ট্রায়াল ছাড়া অন্য কোনও কিছুতেই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা যাবে না। কারণ যদি সঠিক পদ্ধতিতে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করা না হয়, তাহলে তা মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্লাজমা থেরাপি কী?
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার পর তার শরীরের প্লাজমা বা রক্তরস নিয়ে করোনা আক্রান্তের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে কেউ সুস্থ হয়ে উঠলে তার শরীরে করোনাবিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেই অ্যান্টিবডিই করোনা আক্রান্তকারীকে সুস্থ করে তুলছে বলেই ধারণা করা হয়েছিল। এই প্লাজমা থেরাপিতে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে সাফল্য মিলেছিল। কিন্তু আপাতত এই থেরাপির উপরই স্থগিতাদেশ দিল কেন্দ্র।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার হার প্রায় ২৩.৩ শতাংশ। ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার প্রায় ৩০ হাজার ছুঁই ছুঁই। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৫৪৩ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯৩৪।