মুম্বই, ২০ মে: আফ্রিকা (Africa), ইউরোপ (Europe), আমেরিকা শুরু হয়েছে মাঙ্কিপক্সের আতঙ্ক। আফ্রিকায় মাঙ্কিপক্স কার্য ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ফলে আফ্রিকায় অতিমারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে মাঙ্কিপক্সকে। আফ্রিকা ফেরৎ বিশেষ করে নাইজেরিয়া থেকে যাঁরা ফিরছেন ইউরোপীয় দেশ এবং আমেরিকায় (America) তাঁদের শরীরেই মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। এমনই জানানো হয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের তরফে। মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ফের নতুন নতুন তিন্তার ভাঁজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কপালে পড়তে শুরু করেছে। স্মলপক্স অর্থাৎ গুটি বসন্তের সঙ্গে মাঙ্কিপক্সের তফাৎ কতটা? যা জানতে সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন। ওই চিকিৎসক জানান...
স্মলপক্স (Smallpox) এবং মাঙ্কিপস্কের (Monkeypox) মিল রয়েছে বহু ক্ষেত্রে। তবে অর্থোপক্সের সঙ্গে মাঙ্কিপক্সের মিল বেশি। আফ্রিকায় ছড়াতে শুরু করেছে মাঙ্কিপক্স। বিশেষ করে আফ্রিকার রেইনফরেস্ট এলাকায়। তবে স্মলপক্সের চেয়ে মাঙ্কিপক্স বেশ খানিকটা দুর্বল বলে মত প্রকাশ করেন চিকিৎসক। তবে দুই রোগের উপসর্গই প্রায় সমান। জ্বর, মাথা ব্যথা-সহ একাধিক উপসর্গের দেখা মেলে মাঙ্কিপক্সে। শুধু তাই নয়, স্মলপক্সের মত মাঙ্কিপক্স সারতেও প্রায় ৩ সপ্তাহ সময় লাগে।
আরও পড়ুন: Monkeypox: আফ্রিকায় মাঙ্কিপক্সের ভয়াবহতা, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানিতেও ধরা পড়ল সংক্রমণ
তবে স্মলপক্স এবং মাঙ্কিপক্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তফাৎ হল ফলুর মত কতগুলি উপসর্গে। মাঙ্কিপক্সে গলা ব্যাথা, গলা ফোলার মত উপসর্গ বেশি করে দেখা যায় জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর হার ১০ শতাংশ বলেও জানা যাচ্ছে চিকিৎসকের তরফে। হনুমান, কাঠাবেড়ালিদের থেকেই মানুষের মধ্যে মাঙ্কিপক্স ছড়ানোর প্রবণতা সবেচেয়ে বেশি বলে জানা যাচ্ছে। সংক্রমিত হনুমান, কাঠবেড়ালির খাবার, রক্ত, লালারসের সংস্পর্শে কোনও মানুষ এলে তিনিও সংক্রমিত হতে পারেন বলে জানান ওই চিকিৎসক।