নির্মলা সীতারমণ (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ৭ নভেম্বর: এতদিনে আবাসন প্রকল্পের (Real Estate Sector) জন্য বিশেষ তহবিল চালু করার পথে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ইতিমধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করে ফেললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। এই ‘অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’-এ কেন্দ্র দেবে ১০ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা জোগাবে স্টেট ব্যাংক এবং এলআইসি (LIC)। এর পরেও বিভিন্ন পেনশন তহবিল এতে টাকা ঢালতে পারে। এই তহবিল থেকেই টাকার অভাবে কাজ শেষ না হওয়া আবাসন প্রকল্পে ঋণ বাবদ অর্থ জোগানো হবে। বস্তুতপক্ষে নোট বাতিল ও জিএসটি-র জোড়া ধাক্কাতেই আবাসন ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনে টান পড়ে। ব্যাংক ছাড়া অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নগদের অভাবেও আবাসন প্রকল্পে টাকার টান পড়েছিল।

এরপর জিএসটি-র গেরোয় একেবারে চোখে অন্ধকার দেখতে থাকে আবাসন শিল্প। এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। শেষপর্যন্ত দুমাস বাদে আবাসনের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। সরকারের দাবি, ফ্ল্যাট বুক করে, টাকা জমা দিয়ে বসে থাকা আমজনতা এতে লাভবান হবেন। এতদিন তারা টাকা দিয়েও ফ্ল্যাটের চাবি হাতে পাচ্ছিলেন না। এ দিকে ভাড়া বাড়িতে থেকে ভাড়া গুণতে হচ্ছিল। উপকৃত হবেন টাকার অভাবে কাজ শেষ করতে না পেরে দেউলিয়া হতে বসা প্রোমোটার, আবাসন নির্মাণকারী সংস্থাও। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের হিসেবে, দেশে ১৬০০-র বেশি প্রকল্প অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যাতে ফ্ল্যাটের সংখ্যা প্রায় ৪.৫৮ লক্ষ। সরকারের আজকের সিদ্ধান্তে এই ৪.৫৮ লক্ষ ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের সিংহভাগই উপকৃত হবেন। আরও পড়ুন-CRPF Jawan Martyred: সাতসকালেই মাওবাদী হানা, ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে শহিদ সিআরপিএফ জওয়ান

এদিকে থমকে থাকা আবাসন তৈরি করতে এলআইসি ব্যাংক তো যথাসাধ্য করবে। কিন্তু এই আবাসন প্রকল্প বাঁচাতে গিয়ে যদি ওই সংস্থাগুলির অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, তার দায় নেবে কে? এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি।