নয়াদিল্লি, ১৩ মে: আগের তিনটে দফার মতই চতুর্থ দফাতেই দেশবাসীর মধ্যে ভোটদানে বড় উতসাহ লক্ষ্য করা গেল না। সোমবার দেশের ৯৬টি লোকসভা আসনে চতুর্থ দফায় দেশে ভোট পড়ল প্রায় ৬৩ শতাংশ। তবে চতুর্থ দফায় চূড়ান্ত সংখ্যা আসতে কমিশন আরও তিন-চারদিন সময় নিয়ে ঘোষণা করে। এই দফাতেও দেশের বাকি রাজ্যগুলিকে ভোটদানের হারে অনেকটা পিছনে ফেলল বাংলা। বাংলায় চার জেলায় মোট আটটি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়। অধীর চৌধুরী থেকে দিলীপ ঘোষ, মহুয়া মৈত্র, ইরফান পাঠান থেকে কীর্তি আজাদ-শত্রুঘ্ন সিনহা-দের মত তারকা প্রার্থীদের ভাগ্যপরীক্ষা হয়ে গেল। বাংলায় চতুর্থ দফায় ভোটদানের হার দাঁড়াল ৭৬.০২ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়ল কাশ্মীরের অন্ততনাগে।
পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির কেন্দ্রে ভোট পড়ল মাত্র ৩৬.৮৮ শতাংশ। বিজেপি এখানে প্রার্থী দেয়নি। উত্তর প্রদেশের যে ১৩টি লোকসভা কেন্দ্র ভোটগ্রহণ হল তার মধ্যে ২-৩টি বাদ দিলে অধিকাংশই বিজেপি গড় হিসেবে পরিচিত। সেখানে ভোটদানের হার মাত্র ৫৮ শতাংশ। মোদী হাওয়া নিয়ে এখানেই সংশয় তৈরি হল। কনৌজে এসপি-র প্রার্থী অখিলেশ যাদব বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ আনলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছেলের আন্দোলনরত কৃষকদের মিছিলে গাড়ি চতালিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠা কেন্দ্র খেরিতে কয়েকটি বুথে অশান্তি হল।
দক্ষিণের দুই রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলাঙ্গানায় সব কটি লোকসভা আসনেই ভোট হয়ে গেল। তেলাঙ্গানার হায়দরাবাদে মহিলা মুসলিম ভোটারদের সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্য বিজেপি প্রার্থী মাধবী লতার বিরুদ্ধে কমিশন কড়া ব্যবস্থা নিল। অন্ধ্রে ভোট পড়ল ৬৮ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ভোটদানের হার ৬১.৫৯ শতাংশ। বাংলার পর সবচেয়ে বেশী ভোট পড়ল মধ্য প্রদেশে (৬৯.১৬ শতাংশ)। ভোট দেওয়ার বিষয়ে ফের হতাশ করল মহারাষ্ট্র। মারাঠা ভূমে চতুর্থ দফায় ভোট পড়ল মাত্র ৫৩ শতাংশ।