নতুন দিল্লি, ৪ জুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের বাইরেই রয়েছে গান্ধীমূর্তি। মঙ্গলবার রাতে সেই মূর্তির গায়েই স্প্রে রং করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। এরপরেই মূর্তিটিকে সাদা কাপড়ে মুড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় মার্কিন মুলুকে গান্ধীমূর্তিতে ভাঙচুর ও রং লাগানোর ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন দিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন জাস্টার (US Ambassador Ken Juster)। ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের কাছেই রয়েছে এই গান্ধীমূর্তি।এদিন হঠাৎ দেখা যায় মূর্তির গায়ে স্প্রে রং করে গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। এর পরেই স্থানীয় থানায় দূতাবাসের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনার পরেই টুইট করে ক্ষমা চাইলেন দিল্লির মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন জাস্টার।
টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, “ওয়াশিংটন ডিসিতে গান্ধীমূর্তির সঙ্গে হওয়া অবমাননার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। সেই সঙ্গে জর্জ ফ্লয়েডের ভয়ঙ্কর মৃত্যুর ও এর জেরে মার্কিন মুলুকে চলতে থাকা হিংসা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছি। আমরা সবসময়ই যেকোনও ধরনের কুসংস্কার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধেই সক্রিয় রয়েছি। এই পরিস্থিতি থেকে খুব শিগগির আমরা বেরিয়ে আসব, এবং আমার শান্তি ফিরবে আমেরিকায়।” আরও পড়ুন-Vladimir Putin: ডিজেলে ভরেছে সাইবেরিয়ার নদী, দূষণ রোধে রাশিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন ভ্লাদিমির পুতিন
So sorry to see the desecration of the Gandhi statue in Wash, DC. Please accept our sincere apologies. Appalled as well by the horrific death of George Floyd & the awful violence & vandalism. We stand against prejudice & discrimination of any type. We will recover & be better.
— Ken Juster (@USAmbIndia) June 4, 2020
বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে আমেরিকায়। গত এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায় এক অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থাকল মার্কিন মুলুকের ভারতীয় দূতাবাস (Indian Embassy)। দূতাবাসের সামনেই রয়েছে গান্ধীমূর্তি। এদিন দেখা যায়, কালো মানুষের লড়াইয়ে শামিল বিক্ষোভকারীরা সাদা কাপড়ে মুড়ে দিয়েছে গান্ধীমূর্তি ও তার পাদদেশ। কে বা কারা গান্ধীমূর্তিকে এভাবে অসম্মান করল তা এখনও জানা যায়নি। তবে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তথ্য বলছে, অপরাধীদের চিহি্নিত করতে তদন্তে শুরু করেছে মার্কিন মুলুকের মার্ক পুলিশ। মঙ্গলবার কাকভোরে চুরি রুখতে গিয়ে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ক্যাপ্টেন সেন্ট লুইস।