২৬ জানুয়ারি প্রতিটি ভারতীয়র জন্য একটি বিশেষ দিন। এই দিনে ভারতে অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। ভারতীয় গণতন্ত্র এবং সংবিধানের গুরুত্ব তুলে ধরে এই দিনটি। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার এবং স্বাধীনতা রয়েছে। ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে একটি বিশাল কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়, যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনীর শক্তি এবং ভারতের বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শন করা হয়। দিল্লির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের অনেক জায়গায় অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। এই প্রজাতন্ত্র দিবসের উত্তেজনা দেখতে চাইলে ঘুরে আসুন উত্তরপ্রদেশের এই স্থানগুলি।

উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে মহা জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। এখানে অবস্থিত হযরতগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় অনেক দেশাত্মবোধক অনুষ্ঠান এবং পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান। আলো এবং পতাকা দিয়ে সজ্জিত লখনউয়ের ঐতিহাসিক স্থানগুলির পরিবেশ উপভোগ করতে পারে এই সময়ে। এছাড়া আগ্রার তাজমহল এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোকসজ্জা দিয়ে সজ্জিত করা হয়। বিভিন্ন স্কুল এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক কুচকাওয়াজ এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় লেজার শোও আয়োজন করা হয় আগ্রা দুর্গে।

প্রয়াগরাজের ঐতিহাসিক আনন্দ ভবন এবং সঙ্গম এলাকায় আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানের। প্রজাতন্ত্র দিবসে তিরঙ্গা যাত্রা এবং ট্যাবলো হয় দেখার মতো। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদ, যিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁর প্রতি উৎসর্গীকৃত প্রয়াগরাজের চন্দ্রশেখর আজাদ পার্কটি। এছাড়া ঝাঁসিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই দিনে দেশাত্মবোধক গান এবং পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয় ঐতিহাসিক ঝাঁসি দুর্গ। এমন পরিস্থিতিতে, প্রজাতন্ত্র দিবসে হাজার হাজার মানুষ পরিবারের সঙ্গে দেখতে যান ঝাঁসির রানির দুর্গ।