
নয়াদিল্লি, ৪ এপ্রিলঃ দিল্লি এমসের হোস্টেলে চুরি। হঠাৎ করেই চিকিৎসক পড়ুয়াদের টাকা, সোনার গয়না খোয়া যেতে শুরু করে। কিন্তু হোস্টেলের কক্ষে ঢুকে কে চুরি করতে পারেন তা কিছুতেই মাথা ঘামিয়ে বের করতে পারলেন না আবাসিক চিকিৎসকেরা। চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে শেষমেশ পুলিশের দারস্ত হন পড়ুয়ারা। পুলিশ এসে হোস্টেলের সমস্ত সিসিটিভু ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে। আর সেই সিসিটিভি ফেটেজেই মেলে চোরের হদিশ।
দিল্লি এমস হাসপাতাল থেকে শুরু করে আবাসিক চিকিৎসক এবং পড়ুয়া চিকিৎসকের হোস্টেল মিলিয়ে প্রায় ১০০টির বেশি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশের দল। সেগুলো খতিয়ে দেখতে বসে মিলল চোরের খোঁজ। চিকিৎসকদের টাকা গয়না চুরি করছেন একজন চিকিৎসকই! নিজের চোখে বিশ্বাসই হচ্ছিল না পুলিশের। তবে না একটু তদন্ত করে জানা যায়, ওই মহিলা আসলে চিকিৎসক নন। চিকিৎসকের ছদ্মবেশ ধরে বেশ কিছু দিন ধরেই এমসের গার্লস হোস্টেলে ঢুকে চুরি করছেন ওই মহিলা। তাঁর আসল পরিচয়ও সামনে এসেছে। তিনি আসলে এমসের ল্যাব কর্মী।
চিকিৎসকের ছদ্মবেশে এমস হোস্টেলে চুরিঃ
दिल्ली एम्स हॉस्टल में डॉक्टर बनकर चोरी करने वाली लैब टेक्नीशियन महिला गिरफ्तार
डीसीपी अंकित चौहान के नेतृत्व में SHO हौज खास की टीम ने एम्स परिसर में 100 से अधिक सीसीटीवी फुटेज की जांच में देखा एक महिला डॉक्टर का कोट पहनकर हॉस्टल में घूम रही थी और अलग-अलग कमरों के दरवाजे खोलने… pic.twitter.com/W6NWx5LBZz
— Lavely Bakshi (@lavelybakshi) April 4, 2025
চিকিৎসকসদের মত গায়ে সাদা কোট গলিয়ে গার্লস হোস্টেলে আশেপাশে স্কুটি চালিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে ওই ল্যাব টেকনিশিয়ানকে। শুধু তাই নয়, হোস্টেলে ঢুকে আবাসিকদের অনুপস্থিতিতে সমস্ত ঘর খোলার চেষ্টা করতেন তিনি। যেটা খোলা পেতেন ঢুকে পরতেন। সোনাদানাটাকা পয়সা যা পেতেন পকেটে পুড়তেন।
অভিযুক্ত ল্যাব টেকনিশিয়ানকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টি সোনার চেইন, ১টি সোনার আংটি, ১ জোড়া সোনার কানের দুল, ১টি সোনার ব্রেসলেট, ৪,৫০০ টাকা নগদ, সহ আরও কিছু জিনিস। অপরাধে ব্যবহৃত স্কুটিটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।