TikTok Logo (Photo Credit: Twitter/X)

Tiktok Ban: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেল টিকটক। টিকটক অ্যাপ খুললে আর কিছুই হচ্ছে না আমেরিকায়। আর এতে 'টিকটিক স্টার'-রা কেঁদে ভাসাচ্ছেন। রাতারাতি বেকার হয়ে যাওয়া টিকটক তারকারা এতে ভেঙে পড়েছেন। টিকটক থেকে মিলিয়ন মিলয়ন ডলার রোজগার করা সেইসব সেলেব অনশনের হুমকিও দিয়েছেন। টিকটক তো কারও ক্ষতি করছে না! তাহলে এই ব্যান কেন, এই দাবি তুলে টিকটক তারকারা বিক্ষোভের ডাকও দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন মুলুকে আর টিকটক ইনস্টল, আপডেট করা যাচ্ছে না। সু্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে টিকটক-কে ব্লক করা দেওয়া হয়েছে। মার্কিনীরা জানাচ্ছেন, টিকটক, ক্যাপকাট, হাইপিক সহ চিনা কোম্পানি বাইট ডান্সের বিভিন্ন অ্যাপ আর গুগল প্লে স্টোরে মিলছে না। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমেরিকায় টিকটক চিরকালীন বন্ধ (পার্মানেন্ট ব্যান) হয়ে যেতে পারে।

কী কারণে বন্ধ হল টিকটক

জো বাইডেন প্রশাসনের নিয়মের পর সুপ্রিম কোর্টে ব্যান করা হয় টিকটক-কে। জনপ্রিয় এই অ্যাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। টিকটক-কে এখন মার্কিন মুলুকে টিকে থাকতে হলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে। ট্রাম্প জানিয়েছে, তিনি টিকটক-কে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও ৯০দিন সময় দিতে চান। খুব সম্ভবত এই ৯০ দিনের মধ্যে টিকটককে বিক্রি করে দিতে হবে মার্কিন শিল্পপতিকে।

অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়ছেন টিকটক তারকারা

এবার কী হতে পারে

শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্পের অতি ঘনিষ্ঠ ধনকুবের শিল্পপতি ইলন মাস্ক ১০০ বিলিয়ন ডলারে কিনতে পারে টিকটক-কে। যদিও টিনের এই কোম্পানি তাদের আমেরিকার ভাগ কাউকেই বিক্রি করতে রাজি নয়। বাইট ডান্স চাইছে, ট্রাম্পকে বুঝিয়ে আমেরিকায় তাদের পসার আরও বাড়াতে। টিকটিক-ই এখন আমেরিকায় এক নম্বর অ্যাপ।