অ্যামাজনের জঙ্গলে স্টারলিঙ্কের স্য়াটেলাইট। (Photo: X)

Starlink India: দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভারতে ঢুকে পড়েছে দুনিয়ার ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্কের কোম্পানি স্টারলিঙ্ক-এর স্যাটেলাইট ডিস্ক। আগামী দু মাসের মধ্য়ে, মানে অগাস্টের মাঝামাঝি স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা ভারতের সর্বত্র মিলতে চলেছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকের ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে মাস্কের কোম্পানি। স্টারলিঙ্ক-এর সুবিধা হল এর ইন্টারনেট বেশ দ্রুতগতির, আর যে কোনও জায়গায় বসে পরিষেবা পাওয়া যায়। স্টারলিঙ্কের সুবিধা হলো এটি গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত-দুর্গম অঞ্চলে, যেখানে ফাইবার বা মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, সেখানেও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারে।

কারণ মাস্কের কোম্পানি Starlink মহাকাশে ৭০ শতাংশ স্য়াটেলাইটের মালিক। ফলে এত বেশি সংখ্যক স্য়াটেলাইট থাকায় পাহাড়, জঙ্গল, দুর্গম অঞ্চল যেখানে খুশি দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা পাওয়া যায়। এত বেশি সংখ্যক স্যাটেলাইট ব্যবহারের ফলে পাহাড়, জঙ্গল, মরভূমি, বন্য়া-দুর্গত অঞ্চল, সুন্দরবন-লাদাখ-সিকিমের দুর্গম অঞ্চল- যেখানে খুশি দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায়। লস অ্য়াঞ্জেলসের দাবানল থেকে ইউক্রেনের যুদ্ধ, অ্যামাজনের গভীর জঙ্গল, গাজায় ইজরায়েল সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পরেও মাস্কের স্টারলিঙ্কের পরিষেবা দারুণভাবে ব্যবহার করা গিয়েছিল। গোটা বিশ্বের ১৪০টি দেশে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায়। আফ্রিকার দুর্গম অঞ্চলেও মিলছে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা।

স্টারলিঙ্ক ব্যবহারের এককালীন ও মাসিক খরচ কত

ভারতে মাস্কের স্টারলিঙ্কের স্যাটেলাইট ডিশ পরিষেবা পেতে হবে প্রথম দিতে হবে ৩৩ হাজার টাকা। এরপর মাসিক ৩ হাজার টাকা খরচ করলে আনলিমিটেড ডেটার ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করা যাবে। তবে শোনা যাচ্ছে, দেশের শহরাঞ্চলে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা সারচার্জ বসানো হতে পারে। স্টারলিঙ্ক মিনি কিট- যা নিজের সঙ্গে যে কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে তার দাম পড়তে পারে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৩,০০০ টাকা।

দেখুন স্টারলিঙ্ক ব্যবহারের খরচ

Starlink ইন্টারনেট পরিষেবার কতটা স্পিড থাকছে

কোম্পানির দাবি, প্রিমিয়াম/ব্যবসায়িক প্ল্যান নিলে ১৫০ থেকে ৫০০ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড পাওয়া যাবে। সেখানে প্রিমিয়াম প্ল্যানে আপলোড স্পিড ৪০ এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। তবে সাধারণ প্ল্যানে Starlink-এর ডাউনলোড স্পিড সাধারণত ২৫ থেকে ১০০ এমবিপিএস (মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড) হতে পারে। স্টারলিঙ্কের দাবি, স্টারলিঙ্কের লেটেন্সি সাধারণত ২০ থেকে ৪০ মিলিসেকেন্ড। কিছু ক্ষেত্রে, এটি ১৫ মিলিসেকেন্ড পর্যন্ত কম হতে পারে, যা গেমিং, ভিডিও কলিং এবং রিয়েল-টাইম অ্যাপ্লিকেশনের জন্য উপযুক্ত।