হোসনি মুবারক (Photo Credits: Getty Images)

কায়রো, ২৫ ফেব্রুয়ারি: প্রয়াত মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক (Hosni Mubarak)। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ১৯৮১ থেকে ২০১১, টানা ৩০ বছর মিশরের রাজপাট সামলেছেন তিনি। তিন দশক শাসকের মর্যাদা লাভের পর এক সামরিক অভ্যুত্থানে গদিচ্যুত হন। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগে জেলও খেটেছেন তিনি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর হোসনি মুবারকের ঠাঁই মিলেছিল মিশরের কারাগারে। সেখান থেকে মুক্তি পান ২০১৭-তে। তারপর থেকেই অসুস্থ ছিলেন। কয়েকদিন আগেই শরীরে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারও হয়। সেরে উঠছিলেন তিনি, এরমধ্যেই এল দুঃসংবাদ।

হোসনি মুবারকের শাসন কালে মিশর মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের মধ্যে জোট সম্পর্ক ছিল। হোসনি মুবারক রেখে গেলেন স্ত্রী সুজান্নে ও দুই পুত্র গোলাম এবং আলা-কে। ১৯২৮-এর ৪ মে জন্ম হয়েছিল এই প্রবল পরাক্রমশালী শাসকের। কর্মজীবনের শুরুতে মিশরের সেনা জওয়ান ছিলেন। তারপর রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনিই মিশরের চতুর্থ-তম প্রেসিডেন্ট। রাজনীতিতো যোগ দেওয়ার আগে মিশর বায়ুসেনার ক্যারিয়ার অফিসার ছিলেন হোসনি মুবারক। ১৯৭২-৭৫ পর্যন্ত তিনি এই পদে কাজ করেছেন। এর মাঝেই পদোন্নতির জেরে ১৯৭৩ সালে চিফ মার্শাল হয়ে যান। মিশরের বায়ুসেনার বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেছেন হোসনি মুবারক। একবার তো দুবছরের জন্য স্পিট ফায়ার ফাইটার স্কোয়াড্রনেও ছিলেন। আরও পড়ুন-Bihar Assembly: রাজ্যে এনআরসি হবে না, রেসোলিউশন পাস করল বিহার বিধানসভা

১৯৮১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদাতের হত্যাকাণ্ডের সময় হোসনি মুবারক গুরুতর আহন হন। লেফটেন্যান্ট খালিদ ইসামবউলির সেনারা তাঁকে আঘাত করেছিল। সাদাতের মৃত্যুর পর তিনিই মিশরের চতুর্থ-তম প্রেসিডেন্টের পদে বসেন।