নীতীশ কুমার(Photo Credits: IANS)

পাটনা, ২৫ ফেব্রুয়ারি: বিহারের এনআরসি হবে না। পাটনা বিধানসভায় (Bihar assembly) এই মর্মে রেসোলিউশন পাস করিয়ে দিল নীতীশ কুমারের সরকার। তবে এনপিআর বা জনগণনা হবে, কিন্তু তা ২০১০-১১ –এর সময়কার নিয়ম মেনে। এদিনের অধিবেশনে বিরোধীদের সঙ্গে শাসকদের বিধায়কদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। বিরোধীরা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বেই শাসকদলের বিধায়কদের একহাত নেন। অধিবেশন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানান, এনপিআর-এর ফর্মে যে বিতর্কিত ধারাগুলি রয়েছে তা বাদ দেওয়ার জন্য সরকারকে রাজ্যের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনআরসি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এনআরসি-র কোনও দরকার নেই, কেননা আমার মা কবে জন্মেছিলেন তা জানি না। তাই এই রাজ্যে এনআরসি বলবৎ হবে না। শুধুমাত্র এনপিআর হবে তবে ২০২০-১১ সালের নিয়ম মেনে।”

এসবশুনে তেজস্বী যাদব সাংবাদিকদের বলেন, “কেন্দ্রে এনপিআর চালুর জন্য নোটিস আনছে। আর রাজ্য বলছে এনপিআর হবে ২০১০-১১ সালের নিয়ম মেনে। আসলে কোন নিয়মটি এখানে অনুসরণ করা হবে, তা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে তাদের। বাবা-মায়ের জন্ম তারিখ, আধার নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর ও ভোটার আইডি নম্বর এবং মাতৃভাষা। নতুন এনপিআর ফর্মে এসব প্রশ্ন রাখা হয়েছে।” আরও পড়ুন-Melania Trump Attends Happiness Class: দিল্লির সরকারি স্কুলের খুশি ক্লাসে এলেন মেলানিয়া ট্রাম্প, দেখুন ছবি ও ভিডিও

আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিহারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি কর্মীরা এই জনগণনার কাজটি করে। সমালোচকরা বলছেন, কেন্দ্রের নতুন এনপিআর ফর্ম আসলে এনআরসি-র প্রথম ধাপ। সেজন্যই এমন সব বিতর্কিত প্রশ্ন রাখা হয়েছে। অমুসলিমরা এনআরসি-র তালিকা থেকে বাদ গেলেও সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব পাবে। কিন্তু মুসলিমদের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে। যদিও সংসদে কেন্দ্রের নতুন দাবি, আদৌ দেশজুড়ে এনআরসি হবে কি না তানিয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসা বাকি। জাতীয় স্তরে এনআরসি নিয়ে সরকার এখনও কিছু ভাবেনি। নিত্যানন্দ রাই লোকসভার প্রশ্নের উত্তরে একথাই জানিয়েছেন।