কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Act) ও এনআরসি (NRC) ইশুতে রাষ্ট্রসংঘ ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। আজ কলকাতায় এসে মমতার এই দাবির কড়া সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani )। আজ কলকাতায় (Kolkata) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কলকাতা একটি হোটেল হওয়া অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ভারতীয় সংসদের অপমান।"
CAA-NRC বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলনের চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডের সভা থেকে BJP-র শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা কেন? তার আগেই একটা ভোট হয়ে যাক। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের যদি বুকের পাটা থাকে, তাহলে গণভোটে আসুন। যদি হেরে যান, ইস্তফা দিতে বাধ্য হবেন। মমতা বলেন, "রাষ্ট্রসংঘ (United Nations) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission) মতো কোনও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান কমিটি গঠন করুক। তারা দেখুক কত নাগরিক এর পক্ষে আর বিপক্ষে।" ১০ দিন ব্যাপী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে সমাবেশের আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা ব্যানার্জি। তাঁর কথায়, "উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান থেকে কেরালা, তামিলনাড়ু, অসমের সবাই নাগরিক। হঠাৎ করে তাহলে BJP-র মাদুলি পরে প্রমাণ করতে হবে যে নাগরিক কি না।" রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'জীবিত ও মৃত' থেকে লাইন উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, "এ তো ওই কাদম্বরীর মতো, মরে প্রমাণ করতে হবে যে সে মরেনি।" আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: "দেশের গণতান্ত্রিক বাতাবরণের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল", মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে ফের টুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটে তিনি তিনি লেখেন, "বাইরের হস্তক্ষেপ চেয়ে মমতা ব্যানার্জি যে রকম অসাংবিধানিক পথে হাঁটছেন তা দেখে আমি গভীর ভাবে মর্মাহত। এর ফলে দেশের গণতান্ত্রিক বাতাবরণের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।” তিনি আরও বলেন, আমি ওঁনাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও উনি তাঁর বক্তব্য ফিরিয়ে নেননি। সাংবিধানিক পদে থেকে একজন বরিষ্ঠ নেত্রী হিসেবে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। এর পরিণতি কী বিপজ্জনক হতে পারে সে ব্যাপারে তাঁর জানা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। দেশকে যাঁরা ভালবাসেন তাঁরা এটা কখনওই সমর্থন করবেন না।"