কলকাতা,৩ এপ্রিল: ২৬ হাজার মানুষের মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (SSC Recruitment Scam) ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল বলে ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। কারা যোগ্য এবং কারা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন, তা বাছা সম্ভব নয়। তাই ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল দেশের শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) তরফে বাতিল করে দেওয়া হয়। যার জেরে হুলুস্থূল পড়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট যখন ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল বাতিল করে,তার জেরে রাজ্য জুড়ে কার্যত হাহাকার পড়ে যায়। যে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। তাঁরা দুর্নীতি করে চাকরি পাননি, তাই এবার তাঁদের কী হবে। কারও ছোট ছেলে রয়েছে ঘরে আবার কারও বাড়ি বা গাড়ির ইএমআই টানতে হয়। কেউ বাবা-মায়ের চিকিৎসার জন্য বেতনের একটি মোটা খরচ করেন। এবার সেই সমস্ত মানুষের কী হবে বলে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হওয়ার পর দিকে দিকে যখন হাহাকার শুরু হয়েছে, সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যে।
কেউ বলতে শুরু করেন, তাঁর মা জমি বিক্রি করে তাঁকে বিএড করিয়েছেন। অথচ তাঁকে কেউ চাকরিতে বসতে দেয়নি। সে কথা কেউ কখনও কেন তোলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় এক যুবককে।
কেউ আবার বলতে শুরু করেন, দোষী বাছা গেল না বলে এতজন সাধারণ মানুষকে রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া হল। এর নাম কি জাস্টিস বলে তোলা হয় প্রশ্ন।
আবার কেউ বিচার ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তোলেন। বলেন, আদানি, নীরব, বিজয় মালিয়াদের নিয়ে সবাই চুপ।
কেউ আবার হু হু করে কাঁদতে শুরু করেন। চাকরি হারিয়ে বাক্যহারা মানুষগুলোর নীরব কান্নার সঙ্গী কেউ নন।
কেউ আবার বলতে শুরু করেন, চাল থেকে কাঁকড় বাছা গেল না। তাই পুরো চালটাই করা হল বাতিল।
অনেকে আবার বলতে শুরু করেন, যাঁরা বেসরকারি জায়গায় চাকরি করেন, তাঁরা যে কোনও সময় কর্মহারা হতে পারেন। অথচ তাঁদের কথা কেউ শোনেন না বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
কেউ আবার বলতে শুরু করেন, মানুষ অভয়াকে ভুলে গিয়েছেন। ২৬ হাজার চাকরিও ভুলে যাবেন।
সবকিছু মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করতেই তা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে জোর চর্চা এবং তরজা শুরু হয়ে যায়।