দিল্লি, ৪ এপ্রিল: বিমস্টেক সম্মেলনে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান মহম্মদ ইউনুসের (Muhammad Yunus) সঙ্গে সাক্ষাৎ হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। ব্যাঙ্ককে (Bangkok) বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। রিপোর্টে প্রকাশ, থাইল্যান্ডে বিমস্টেক (BIMSTEC) সম্মেলনের মাঝে প্রধানমন্ত্রী মোদী যাতে ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, সে বিষয়ে ঢাকার তরফে আবেদন জানানো হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর থাইথ্যান্ডের যে সফরনামা, সেখানে ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকের কোনও উল্লেখ ছিল না।
শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশ থেকে পালানোর পর ভারতে (India) আশ্রয় নিয়েছেন। দিল্লিতে বর্তমানে রয়েছেন মুজিব-কন্যা। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা অহরহ ঘটতে শুরু করে। যে খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ অবনতি হয়। এমনকী, ভারত, বাংলাদেশ সীমান্ত কড়া নজরদারি শুরু করে বিএসএফ। বাংলাদেশ পার করে যাতে কেউ ভারতে প্রবেশ করতে না পারেন, সে বিষয়ে দিল্লির তরফে দেওয়া হয় কড়া নির্দেশ।
মোদী-ইউনুসের বৈঠক বিমস্টেকের মাঝে...
VIDEO | Thailand: PM Modi (@narendramodi) hold talks with Bangladesh interim govt's chief adviser Muhammad Yunus on the sidelines of BIMSTEC Sumit in Bangkok.
(Source: Third Party)
(Full video available on PTI Videos- https://t.co/dv5TRARJn4) pic.twitter.com/zzrPeyeSWj
— Press Trust of India (@PTI_News) April 4, 2025
এসবের মাঝে দিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক আরও অবনতি হতে শুরু করে ইউনুসের মন্তব্যে। চিন সফরে গিয়ে ইউনুস ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে নিয়ে মন্তব্য করেন। যা একেবারেই না-পসন্দ দিল্লির। এরপর থেকেই ঢাকার সঙ্গে দিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পারদ আরও চড়তে শুরু করে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রথম সে দেশের কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী। বিমস্টেক সম্মেলনকে পাশে রেখে মোদীর সঙ্গে ইউনুসের কোন কোন বিষয় নিয়ে কথা হয়, সেদিকে আন্তর্জাতিক মহলের নজর রয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনাকে যাতে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে ঢাকার তরফে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তবে ঢাকার সেই আবেদনের কোনও পালটা জবাব দেয়নি দিল্লি। যা নিয়েও চড়ে সম্পর্কের পারদ। এখন দেখা যাক, মোদীর সঙ্গে ইউনুসের বৈঠকের পর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কতটা সাবলীল হয়।
গত বছর অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে শুরু হয় কোটা বিরোধী আন্দোলন। যে আন্দোলনে কার্যত দুর্বল হয়ে পড়ে শেখ হাসিনা সরকার। কোটা বিরোধী আন্দোলনে যখন বাংলাদেশ উত্তাল, সেই সময় বঙ্গভবন ছেড়ে গোপণে চপারে উঠে ভারতে হাজির হন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লিগ প্রধান শেখ হাসিনা। মুজিব-কন্যার পলায়নের পর থেকেই বাংলাদেশে যেমন আওয়ামী লিগের কর্মীদের বেছে বেছে মারধর করা হয়, তেমনি হিন্দুদের উপর চড়াও হয়েও অত্যাচার শুরু হয়।