চলতি মাসের শুরুর দিকেই সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদ। সামশেরগঞ্জে একই পরিবারের দুই সদস্যকে বাড়ি থেকে বের করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সপ্তাহখানেক মধ্যে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর জঙ্গি হামলায় আবার উত্তপ্ত হয় জম্মু-কাশ্মীর। পহেলগামে (Pahalgam) বেছে বেছে হিন্দু ভারতীয় পুরুষদের খুন করে পাক জঙ্গিরা। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে দেশবাসী। অন্যদিকে এই হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক আগের থেকে আরও নষ্ট হয়েছে। নয়াদিল্লির তরফ থেকে বৈধ ভিসাসহ পাক নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই নিয়ে শুক্রবারই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তরফ থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকারের সমালোচনায় অগ্নিমিত্রা পাল

এই প্রসঙ্গে আবার রাজ্য সরকারের সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এদিন বলেন, মোদী সরকার এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কড়া পদক্ষেপ নেবে। ১ মে-এর মধ্যে পাক নাগরিকদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার সন্দেহ রয়েছে যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আদৌ কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মানবেন? কারণ উনি সবসময়ই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে এসেছেন। এখনও মুর্শিদাবাদ থেকে ভারত বিরোধী উস্কানিমূলক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে। প্রশাসনও এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

দেখুন অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য

পহেলগামে জঙ্গি হামলা

প্রসঙ্গত, পহেলগামে হামলার পর থেকেই হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকেই আটক করা হয়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, জঙ্গিরা সম্ভবত অনান্য রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছে। সেই কারণে বাকি রাজ্যগুলিকেও ইতিমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে পহেলগামে জঙ্গি হামলার পরই পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে জম্মু-কাশ্মীর।