James Anderson Crying Photo Credit: Twitter@USMAN_254

সচিন তেন্ডুলকরের মত দুশো টেস্টে খেলা হচ্ছে না, তার আগেই থামছে ইংল্যান্ডের তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের কেরিয়ার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বর্তমানে সবচেয়ে বেশী বয়সের ক্রিকেটার অবসর নিতে চলেছেন। ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া ইংল্যান্ডের তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসন বাইশ গজকে বিদায় জানাতে চলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ৭০০ উইকেটের মালিক অ্যান্ডারসন শেষবারের মত দেশের জার্সি পরে নামতে চলেছেন। ২০০৩ সালের মে-মাসে লর্ডসে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল জিমি-র। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর।

সেই লর্ডসেই তাঁর কেরিয়ারের শেষ টেস্ট তথা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে চলেছেন আর মাস দুয়েক বাদে ৪২-এ পড়তে চলা অ্যান্ডারসন। জিমি জানালেন, আগামী ১০ জুলাই থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে লর্ডসে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটাই তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের শেষ ম্য়াচ হতে চলেছে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হলেই ইংল্যান্ডে গিয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ক্যারিবিয়ানরা। সেই সিরিজের লর্ডসে প্রথম টেস্টটাই ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা অ্যান্ডারসনের বিদায়ি ম্যাচ হতে চলেছে। আরও পড়ুন- আইপিএলে এক ম্যাচ সাসপেন্ড পন্থ, কিন্তু কেন

প্রসঙ্গত, আগেই ওয়ানডে ও আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে অবসর নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। ফলে জুলাইয়ের মাঝেই অস্ত যাচ্ছে অ্যান্ডারসনের বর্ণময় কেরিয়ার। ইংল্যান্ডের কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম আগামী অ্যাসেজের জন্য তরুণদের সুযোগ দিতে চান। তাই জিমি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। মার্চে ভারত সফরে এসে পাঁচ টেস্টের সিরিজটাই অ্যান্ডারসনের কেরিয়ারে শেষ অ্যাওয়ে সিরিজ হয়ে গেল।

ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১৮৭টি টেস্টে ৭০০টি উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। ৩২ বার ইনিংসে ৫ উইকেট, ৩ বার ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আছে অ্যান্ডারসন। বহু ম্যাচে একাই খেলার মোড় ঘুরিয়েছেন অ্যান্ডারসন। সচিন তেন্ডুলকরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার স্থায়ী হয়েছিল ২৪ বছর। সচিন খেলেছিলেন ২০০টি টেস্ট। সেখানে অ্যান্ডারসনের টেস্ট কেরিয়ার স্থায়ী হল ২১ বছর, খেললেন ১৮৮টি টেস্ট। তবে দ্রুতগতির পেসার হয়ে এত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেরা একটা টেস্টে খেলিয়ে দেশের এক নম্বর বোলার হয়ে টিকে থাকাটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।