
রঙের উৎসব হোলি হল ঐক্য, আনন্দ এবং ঐতিহ্য। প্রতি বছর সারা বিশ্বে পালন করা হয় রঙের উৎসব হোলি। হোলি উৎসব হল আনন্দ, ক্ষমা এবং মন্দের উপর ভালোর জয়ের প্রতীক। হোলি উৎসবের আগের দিন পালিত হয় হোলিকা দহন। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয় হোলিকা দহন। এই দিনে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হয়ে যায় হোলিকার আগুনে। ২০২৫ সালে হোলিকা দহন পালন করা হবে ১৪ মার্চ।
২০২৫ সালে ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১৩ মার্চ, সকাল ১০:৩৫ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৪ মার্চ, দুপুর ১২:২৩ মিনিটে। ১৩ মার্চ রাত ১১:২৬ মিনিট থেকে ১৪ মার্চ রাত ১২:৩০ মিনিট পর্যন্ত হল হোলিকা দহনের শুভ সময়। হোলিকা দহনের জন্য মোট সময় রয়েছে ১ ঘন্টা ৪ মিনিট। হোলিকা দহন পুজোর জন্য প্রথমে গোবর দিয়ে হোলিকা এবং প্রহ্লাদের মূর্তি তৈরি করার পর একটি থালায় রেখে রোলি, ফুল, ফল, আস্ত হলুদ, ডাল, নারকেল, বাতাসা, আস্ত ধানের দানা, কাঁচা সুতো, এবং একটি কলস ভরে রাখতে হয়।
হোলিকা দহনে ভগবান নরসিংহের ধ্যান করে তাঁকে রোলি, চন্দন, ৫ ধরণের শস্য এবং ফুল অর্পণ করা হয়। এরপর কাঁচা সুতো নিয়ে হোলিকার ৭ বার প্রদক্ষিণ করে শেষে আবির যোগ করতে এবং জল অর্পণ করতে হয়। হোলিকা পোড়ানোর ঐতিহ্য আত্মার শুদ্ধিকরণ এবং মনের পবিত্রতার প্রতীক, যা ব্যক্তিদের হোলি পালনের জন্য প্রস্তুত করে। হোলিকা দহন কৃষিচক্রের সঙ্গেও যুক্ত, এদিনটি দেবতাদের কাছে প্রচুর ফসলের জন্য প্রতীকী উৎসর্গ।