
কলকাতা : ওজন বৃদ্ধি আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই পরামর্শ দেন, একবারে খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খাবার। ২ ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে। অধিকাংশ মানুষ এটা করার সুযোগ পান না। এই পদ্ধতিটি কিছু লোকের জন্য উপকারী হতে পারে, আবার কিছু লোকের জন্য এটি খুব ক্ষতিকারকও হতে পারে।
২ ঘন্টার ব্যবধানে খাওয়া সবার জন্য কি উপকারী ?
যাদের মেটাবলিজম (Metabolism) খুব ভালো এবং শক্তিশালী তারা যদি ২ ঘন্টার ব্যবধানে খান, তাহলে এই পদ্ধতি তাদের অনেক উপকার করে, কিন্তু যাদের হজম সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি উপযুক্ত নয়। এতে করে কারো কারো গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই যাদের পেটের সমস্যা আছে তাদের এটা করা উচিত নয়।
পুষ্টিবিদের মতে, আপনি যদি দুই ঘণ্টার ব্যবধানে খান, তাহলে আপনি যে ক্যালরি গ্রহণ করেন তা খুবই কম। তাই সীমিত পরিমাণে ঘন ঘন খেতে বলা হয়। প্রতি দুই ঘন্টা পরপর খেতে বলা হয় যাতে অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানো যায়। কারণ একবারে অনেক বেশি খেলে ওজন বেড়ে যায়। এ কারণে শরীরে হজমে সমস্যা হয়। আর শরীরের ক্যালরি পুড়ে যায়। ফলে শক্তি চর্বিতে রূপান্তরিত হয়। ওজন কমানোর জন্য অল্প অল্প করে খাওয়া ঠিক, কারণ এটি শক্তিকে চর্বিতে রূপান্তর করতে সক্ষম নয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, এটা করা কি সবার জন্য ঠিক হবে? যাদের অন্ত্র এবং অন্ত্রের ডিসবায়োসিসের সমস্যা রয়েছে তাদের ঘন ঘন খাওয়া উচিত নয়। কারণ শরীরে যখন ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন এই ধরনের মানুষের প্রি-ডায়াবেটিক হয়ে থাকে। এই ধরনের লোকেরা শারীরিকভাবে সক্রিয় নয়।