নতুন দিল্লি, ২৭ মার্চ: করোনাভাইরাসে জর্জরিত বিশ্ব।চিন থেকে শুরু হলেও মারণ রোগ ইটালি ও ইরানকে (Iran) একেবারে বিধ্বস্ত করে ছেড়েছে। এরপর মার্কিন মুলুক, স্পেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য, নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারত। সব জায়গাতেই নিচের নারকীয় ছাপ রেখেছে কোভিড-১৯। এই মুহূর্তে ভারতের অবস্থা সঙ্গীন, ৭২৪ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৬৬১ জন এখন রোগটির সঙ্গে তুল্যমূলয লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ৪৫ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর হার স্বীকার করে মৃত্যুকে বেছে নিয়েছেন ১৮ জন। প্রতিদিন বিভিন্ন রাজ্যে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ এড়াতে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এর জেরে খেটে খাওয়া মানুষের মাথায় হাত পড়েছে।
রাজ্যগুলির সঙ্গে মিলিতভাবে আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এগিয়ে এসেছেন শিল্পপতি ও প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। সবাই মিলে এই বিপর্যয়ের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে সংক্রমণ এড়াতে আন্তার্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে ইরানে এখনও ৮৫০ জন ভারতীয় পুণ্যার্থী আটকে আছেন। সেদেশের কোম শহরেই রাখা হয়েছে পুণ্যার্থীদের। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও সূর্য কান্তর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চেয়েছে ওই ৮৫০ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্রে ঠিক কি পদক্ষেপ নিয়েছে। লাদাখের বাসিন্দা মুস্তাফা এমএইচ সুপ্রিম কোর্টে এই মামসাটি দায়ের করেছেন। তাঁর পরিজনরা গত ডিসেম্বরে ১০০০ পুণ্যার্থীর সঙ্গে ইরানে গিয়েছিলেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে তাঁদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ইরানে ততক্ষণে মহামারীর চেহারা নিয়েছে করোনাভাইরাস। তাই সেখানেই তাঁদের থেকে যেতে হয়েছে। আরও পড়ুন-Donald Trump: মহামারী করোনাকে রুখতে চিনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে আমেরিকা, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকার জন্য হাতে টাকাপয়সাও বিসেষ নেই। ইরান সরকার পুণ্যার্থীদের হোটেলে রেখেছে। চার পাঁচজন করে এক একটি ঘরে থাকতে হচ্ছে। এমনিতেই করোনাভাইরাসের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলা মুশকিল। এই পরিস্থিতিতে এভাবে থাকতে গিয়ে তাঁরা যে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়বেন না কে বলতে পারে। তার উপরে বিদেশ বিভুঁইয়ে সঠিক চিকিৎসা সহায়তাও মিলছে না। তাছাড়া ইরানে মহামারীর জেরে প্রায় ২০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে গেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই পুণ্যার্থীদের ফেরানোর বন্দোবস্ত করে ততই ভাল।