ডোনাল্ড ট্রাম্প (Photo Credits: Getty Images)

ওয়াশিংটন, ২৭ মার্চ:  কোভিড-১৯এর ভয়াবহতা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরেই দুই দেশ এক যোগে এই মহামারীকে রুখতে কাজ শুরু করছে। শুক্রবার একথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট  (Donald Trump)। প্রায় তিনমাস যাবৎ চিন যেবাবে মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করল, তাতে সেদেশের ধন্যবাদ প্রাপ্য বলেই মনে করেন ট্রাম্প। এনিয়ে তিনি বলেন, “এই মাত্র চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা হল। দারুণ কথোপকথন হয়েছে। আলোচনার বেশিরভাগ জুড়েই ছিল মারণ ভাইরাস করোনা। যে এখন আমাদের গোটা পৃথিবীর বেশিরভাগটাই গ্রাস করেছে। চিন এতদিন ধরে এই বাইরাসের প্রকোপ সহ্য করে। তাকে রুখতে সমর্থ হয়েছে। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।”

চিন-আমেরিকা তরজার সূত্রপাত বহুদিন আগে। বিশ্বে বাণিজ্যে কার আধিপত্য থাকবে? এই নিয়ে আগে থেকেই সংঘাতে ছিল চিন ও আমেরিকা। করোনা সংক্রমণের উৎস নিয়েও একে অপরকে তোপ দাগতে ছাড়েনি দুই শক্তিশালী দেশ। উহান প্রদেশ ভাইরাসের কেন্দ্র হওয়ায় চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শি জিনপিং সরকারের দায়িত্বহীন বলেও উল্লেখ করেছিল হোয়াইট হাউস। পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েনি বেজিংও। নিজের ঘর সামলাক আমেরিকা, বিশ্ব যখন করোনায় আতঙ্কগ্রস্ত, এ সময় প্রমাণ ছাড়া দোষারোপ করা অনুচিত। এমনই অগ্নিবাণ ছুড়েছিল চিনের বিদেশমন্ত্রক। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন, আমেরিকা-ই এই ভাইরাসের জন্ম দিয়েছে। তাদের সেনা করোনা ভাইরাস নিয়ে এসেছে উহানে। সব মিলিয়ে বাক্যবাণে একে অপরকে বিধ্বস্ত করেছিল দুই দেশ। আরও পড়ুন-'Operation Namaste': করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে ৮টি কোয়ারেন্টাইন ভারতীয় সেনার, অভিযানের নাম ‘অপারেশন নমস্তে’

তবে চিনা ভাইরাস বলে আক্রমণ করলেও শি জিনপিং পাল্টা তোপ দাগেন। জানিয়ে দেন প্রমাণ ছাড়া মুখ খুলতে পারবে না আমেরিকা। ট্রাম্পকে বেজিং বিশেষ পছন্দ করে না। এই পরিস্থিতিতে জিনপিংকে বিশেষ ঘাটাতে নারাজ হোয়াইটহাউস। এদিন তাই উল্টো সুর শোনা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্টের গলায়। করোনা প্রতিরোধে চিনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে আমেরিকা। জানিয়ে দিলেন তিনি।