Wells Fergo Layoff Photo Credit:

কীবোর্ড কার্যকলাপ জাল করে ব্যাঙ্ককে প্রতারণা করার জন্য ওয়েলস ফার্গো এক ডজনেরও বেশি কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাকরি হারানো শ্রমিকরা সবাই ফার্মের সম্পদ ও বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের। ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেটরি অথরিটির কাছে প্রকাশ করা রিপোর্টে আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক বলেছে যে কর্মীদের "কিবোর্ড কার্যকলাপের অনুকরণে সক্রিয় কাজের ছাপ তৈরি করার অভিযোগের পর্যালোচনার পরেই তাঁদের  বরখাস্ত করা হয়েছে।"

ব্যাঙ্কের প্রতিক্রিয়া

ফার্মের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, "ওয়েলস ফার্গো কর্মীদের সর্বোচ্চ মান ধরে রাখে এবং অনৈতিক আচরণকে সহ্য করে না।" তবে ওয়েলস ফার্গো বলেনি কিভাবে অভিযুক্ত কর্মীদের  কীবোর্ড সিমুলেশন আবিষ্কৃত হয়েছে। এমনকি বাড়ি থেকে কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা তাও প্রকাশ করেনি।

বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-  অনেক কোম্পানি তাদের কর্মচারীদের অত্যাধুনিক সরঞ্জামের মাধ্যমে নজরদারি করে। চোখের গতিবিধির পাশাপাশি, কীবোর্ডের কার্যকলাপ ট্র্যাক করা ছাড়াও কর্মচারীরা যে ওয়েব পৃষ্ঠাগুলি পরিদর্শন করে তার স্ক্রিনশট ও তুলে রাখে অনেক সংস্থা। কোভিড মহামারী চলাকালীন কর্মচারীদের ওপর নজরদারী চালানোর জন্য  এই সরঞ্জামগুলি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল, কারণ সেই সময় অনেক কোম্পানি ওয়ার্ক ফ্রম হোম মডেলে চলে গিয়েছিল। যার ফলে তাঁরা কর্মীদের ট্র্যাক করার উপায় বের করেছিল।অন্যদিকে, কর্মচারীরা এই ট্র্যাকিং সরঞ্জামগুলির কাছাকাছি যাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় তৈরি করেছে - যেমন জাল কীবোর্ড কার্যকলাপ, যা ওয়েলস ফার্গো কর্মীদের সমস্যায় ফেলেছে।

"মাউস মুভারস" বা "মাউস জিগলার্স" নামে পরিচিত ডিভাইস এবং সফ্টওয়্যারগুলি মহামারী চলাকালীন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল কারণ সংস্থাগুলিকে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। তারা কীবোর্ড ক্রিয়াকলাপ অনুকরণ করে সিস্টেমকে এমন ভাবতে চালনা করত যাতে মনে হত যে একজন ব্যক্তি কাজ করছে,  যাতে তারা তাদের কীবোর্ড থেকে দূরে থাকতে পারে।

এই ধরনের অনেক ডিভাইস অ্যামাজনে ১০ ডলারেরও কম দামে পাওয়া যায় বলেও বিবিসি প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ২০২২ সালের প্রথম দিকে ওয়েলস ফার্গো গ্রাহক-মুখী ভূমিকা সহ তাঁদের বেশিরভাগ কর্মচারীদের ঘর থেকে অফিসে ফিরে আসতে ও  একটি হাইব্রিড নমনীয় মডেলের অধীনে কাজ করতে বলেছিল।