
বর্তমান যুগের ব্যস্ত জীবনে সুস্থ ও ফিট থাকা সকলের জন্য জরুরি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ভালো জীবনধারা অবলম্বন করলে অনেক গুরুতর রোগ এড়িয়ে চলা সম্ভব। এবিষয়ে সাহায্য করতে পারে গ্রিন টি। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গ্রিন টি ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করার সঙ্গে ক্যান্সার এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো প্রাণঘাতী রোগও প্রতিরোধ করতে পারে। জাপানের এক গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কম থাকে। গবেষকরা প্রায় ৯ হাজার প্রাপ্তবয়স্কদের কফি এবং চা পানের অভ্যাসের তথ্য বিশ্লেষণের জন্য মস্তিষ্কের স্ক্যান ব্যবহার করেন। তাতে দেখা গেছে যে দিনে ৩ বা তার বেশি গ্লাস গ্রিন টি পান করলে ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।
২০২২ সালের একটি গবেষণায় জানা যায় যে, প্রতিটি কাপ গ্রিন টি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৬ শতাংশ কমিয়ে দেয়। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে চিন্তা করার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। সম্ভবত এই কারণেই গ্রীক দ্বীপ ইকারিয়ার মানুষদের ডিমেনশিয়া খুব কম বা একেবারেই হয় না, কারণ গ্রিন টি তাদের দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ। ডিমেনশিয়া এমন একটি রোগ যেখানে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে শুরু করে এবং চিন্তাভাবনা ও বোঝার ক্ষমতা প্রভাবিত হয়। গ্রিন টিতে পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।
গবেষণা অনুযায়ী, গ্রিন টি স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। গ্রিন টিতে উপস্থিত ক্যাটেচিন এবং এল-থিয়েনিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটি মস্তিষ্কের নিউরনগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং আলঝাইমারের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। গ্রিন টি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করে। এটি মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে এবং মানসিক শান্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বর্তমান যুগে হৃদরোগ খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। গ্রিন টি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। গ্রিন টি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, রক্তনালীগুলিকে সুস্থ রাখে, যার ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।