Credit: Pixabay

চুলকানি একটি সাধারণ সমস্যা। তাপ, অ্যালার্জি, সংক্রমণ বা ত্বকের শুষ্কতার কারণে হতে পারে চুলকানি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, মানুষ অনেক ধরণের ক্রিম এবং ওষুধ ব্যবহার করে, কিন্তু প্রাকৃতিক চিকিৎসার কথা বললে নারকেল তেল সবচেয়ে কার্যকর। নারকেল তেল ত্বককে আর্দ্রতা দেওয়ার সঙ্গে চুলকানি প্রশমিত করতে এবং ত্বককে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। নারকেল তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের জ্বালা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। নারকেল তেলে উপস্থিত লরিক অ্যাসিড, ক্যাপ্রিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

নারকেল তেল ত্বকের উপরের স্তরকে পুষ্টি জোগায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক মেরামত করে। চুলকানির কারণ ত্বকের শুষ্কতা হলে নারকেল তেল হল সেরা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে আর্দ্রতা প্রদান করে এবং চুলকানি প্রশমিত করে। নারকেল তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকের জ্বালা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বিশেষভাবে কার্যকর। ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বৃদ্ধির কারণেও চুলকানি হতে পারে। নারকেল তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে চুলকানি কমায়।

পোকামাকড় বা মশার কামড়ের কারণে চুলকানি হলে, নারকেল তেল লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়। এটি ত্বককে ঠান্ডা করে এবং জ্বালাপোড়া কমায়। নারকেল তেল দাদ এবং অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট চুলকানি নিরাময়েও সাহায্য করে। এতে উপস্থিত লরিক অ্যাসিড ত্বকের বাধাকে শক্তিশালী করে অ্যালার্জির প্রভাব কমায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক নারকেল তেল ব‌্যবহার করার বিভিন্ন পদ্ধতি। আক্রান্ত স্থানে হালকা করে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে গোটা রাত রেখে দিতে হবে। এছাড়া নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে লাগালে ত্বক ঠান্ডা থাকে এবং চুলকানি দ্রুত দূর হয়। নারকেল তেলে কয়েক ফোঁটা চা গাছের তেল মিশিয়ে লাগালে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করা সম্ভব।