দিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর: তিহাড় জেলে টানা ১৪ দিন থাকতে হবে পি চিদম্বরমকে। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় এদিন আর আগাম জামিনের আবেদনে সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই আদালত প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পি চিদম্বরমকে জেলের সাজা শুনিয়ে দেয়। তিহাড় জেলের সাত নম্বর কুঠুরিতেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঠাঁই হচ্ছে। এক সময় ছেলে কার্তি এখানেই ছিলেন। মূলত আর্থিক দুর্নীতিতে যারা ফাঁসে তাদের জন্যই এই সাত নম্বর কুঠুরি। তবে মহিলাদের সঙ্গে যারা অন্যায় করে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের অভিযোগে তিহাড় জেলে (Tihar Jail) আসা বন্দিদের ঠাঁই হয় এই কুঠুরিতেই। সাত নম্বর কুঠুরিটি আয়তনে বেশ ছোট। তবে যেহেতু বন্দি পি চিদম্বরম তাই জেলের নিরাপত্তার বাইরেও তাঁর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
পি চিমদম্বরম এমনিতেই জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেয়ে তাকেন। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta) এই বিশেষ নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুলতে একদম কালক্ষেপ করেননি। তবে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে এই অতিরিক্ত নিরাপত্তার খবর এখনও পৌঁছায়নি বলেই জানা গিয়েছে। এমনিতে জেলের বন্দিরা মেঝেতেই ঘুমায়, বয়স্করা একখানা কাঠের তক্তা পায়। এদিকে চিদম্বরমের জন্য তক্তার উপরে চাদরও জুটবে বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমি বাথরুমের বন্দোবস্তও থাকছে তাঁর জন্য। আদালত তাঁকে সঙ্গে করে ওষুধ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তবে খাবার বাইরেরন নয়, অন্যান্যদের মতো জেলের ক্যান্টিনের খাবারই পি চিদম্বরমকে খেতে হবে। চাইলে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কিছু স্ন্যাক্সের অর্ডার ক্যান্টিনের কর্মীদের কাছে করতে পারবেন। পৃথক কক্ষেই তাঁকে রাখা হবে। আরও পড়ুন-অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা , তিহাড় জেলে যাওয়ার সময় কী বললেন পি চিদম্বরম?
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকার সময় পদের অপব্যবহার করেছিলেন পি চিদম্বরম। তাঁর বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ রয়েছে। তিনি আইএনএক্স মিডিয়াকে (INX Media Case) বিদেশি লগ্নির সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এবং এই কাজ করে বড় মাপের ঘুষ পেয়ে যায় তাঁর ছেলে কার্তি। সিবিআই বহুদিন ধরেই আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় চিদম্বরমকে গ্রেপ্তারির চেষ্টা করছিল। গত ২১ আগস্ট রাতে তাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে পাকড়াও করে সিবিআই। এতদিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর আজ তিহাড় জেলেই গেলেন পি চিদম্বরম। তিনি বার বার ইডি ও সিবিআইএর হেফাজতে থাকতে চেয়েছিলেন, তবে সিবিআই আদালতের মতে প্রভাবশালী ব্যক্তি চিদম্বরম। তিনি জেলের বাইরে থাকলে সমস্ত প্রমাণ হাপিশ হয়ে যেত।