বাবা, মায়ের সঙ্গে সেই শিশুটি। (Photo Credits: ANI)

নয়া দিল্লি, ২১ জুলাই: দিল্লির এক হাসপাতালের ডাক্তারের মানবিতার নজির। রাজধানী শহরের সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতালে লিভারের অসুখে ভুগে কোমায় চলে যাওয়া এক ৭ বছরের ফুটফুটে শিশুকে সুস্থ জীবনে ফিরে আসায় বড় নজির হয়ে থাকল এক ডাক্তারের অতি মানবিকতা। জন্ডিসের পর কোমা চলে যাওয়া শিশুটির লিভার প্রতিস্থাপনের  প্রয়োজন ছিল। লিভারের অসুখে ভোগা শিশুটির নাম আলি হামজা।

যিনি অতি মানবিকতার পরিচয় দিলেন তিনি হলেন ডাক্তার শরত ভর্মা। লিভার প্রতিস্থাপন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুবই ব্যয়বহুল। কারণ প্রতিস্থাপনের জন্য অনেকগুলো স্তর পেরোতে হয়, পরীক্ষানিরীক্ষা-আধুনিক পরিকাঠামো-মেশিনেরও প্রয়োজন হয়।

ছোট্ট আলি যখন ডাক্তারের কাছে এসেছিল তখন ওর লিভার পুরোপুরি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। জন্ডিসে থাকা অবস্থায় ও পুরোপুরি কোমায় চলে গিয়েছিল। তারপর ডাক্তাররা ওর লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য ১৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যেহেতু আমি-র বাবা লিভার দেন, তাই খরচ কমে আসে ১২ লক্ষ টাকায়। এরপর ৩ লক্ষ টাকা জোগাড় করে আলি-র পরিবার। তখনই অসহায় পরিবারকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ডাক্তার শরত ভর্মা। ডাক্তারবাবুর সহায়তায় সুস্থ হয়ে জীবনে ফিরেছে আলি। ওর বাবাও সুস্থ আছে। আলি এখন ক্লাসে ওয়ানে পড়ে। যে ডাক্তারবাবুদের মধ্যে শয়তানের দেখা পেয়ে তাদের মারতে চায় দুষ্টু লোকগুলো, সেই ডাক্তারদের মধ্যেই আল্লা/ভগবানকে দেখতে পেল আলি।রও পড়ুন- ২১শে জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস লাইভ

এদিকে, লিভার প্রতিস্থাপন করাটা খুব জরুরী হয়ে পড়েছিল। এমন অবস্থায় সাধারণত পরিবারের অসহায় কান্না ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। সেখানেই ত্রাতা হয়ে যেন ভগবানের মত উদ্ধার করলেন ডাক্তারবাবু। রোগীর কাছে ডাক্তার ভগবানের মত, কথাটা সত্য়ি করে সেই হাসপাতালের এক ডাক্তার নিজে থেকে ৮ লক্ষ টাকা বের করে দিলেন। পরিবারের ৩ লক্ষ ও ডাক্তারের ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু হল লিভার প্রতিস্থাপন। নেটিজেনরা এই ডাক্তারের প্রশংসায় নেমেছেন।

দেশের বিভিন্নপ্রান্তে আজ ডাক্তাররা আক্রান্ত। কখন

ও ডাক্তার...নচিকেতার এই গানটার কথাগুলো অনেক সময় এত মিলে যায় যে আম জনতা বারবার শুনতে চায় গান। খবরে আসা, বাস্তবের কিছু অভিজ্ঞতার পর ডাক্তারদের একটা শ্রেণী মানেই কমিশনের লোভ অতিরিক্ত পরীক্ষা, ভুল চিকিতসা, গাফলতির দায়ে রোগী মৃত্য...এসব অভিযোগগুলো সেটে গিয়েছে। যদিও এটা ঠিক। বেশিরভাগ ডাক্তারই এখনও রোগীদের সেবাতেই নিজেদের ব্যস্ত রাখেন।