
মধুর প্রতিশোধ। বছর দুয়েক আগে বিশ্বকাপে ফাইনালে হারের শোধ তুলে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠল টিম ইন্ডিয়া। ১২ বছর পর রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলবেন রোহিত শর্মা-রা। মঙ্গলবার দুবাইয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে কাপ জেতা থেকে আর মাত্র একটা ম্যাচ দূরে থাকলেন রোহিত শর্মা-রা। ২০২৩ বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপের, তিন বছরে তৃতীয়বার আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলবে টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলির অনবদ্য ৮৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যে টানা চারটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে নামবে ভারত। শেষের দিকে কয়েকটা উইকেট পড়লেও এদিন টিম ইন্ডিয়ার জয়কে তেমন কষ্টার্জিত জয় বলা চলে না।
ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া
India edge out Australia in a nervy chase to punch their ticket to the #ChampionsTrophy Final 🎫#INDvAUS 📝: https://t.co/hFrI2t8AC9 pic.twitter.com/ftpmHXJ2m4
— ICC (@ICC) March 4, 2025
কীভাবে জিতল টিম ইন্ডিয়া
জয়ের জন্য ২৬৮ রান তাড়া করতে নেমে ৪৩ রানের মধ্যে দলের দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। শুবমন গিল (৮) ও রোহিত শর্মা (২৮) পরপর প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। কিন্তু সেখান থেকে রান তাড়া করায় দুনিয়ার অন্যতম সেরা কোহলি আরও একবার বোঝালেন কেন তাঁকে বিশ্বসেরাদের তালিকায় রাখা হয়। প্রথমে শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৯১ রান যোগ করে। শ্রেয়স (৪৫) ভাল খেলার পর জাম্পার বলে বোল্ড হয়ে যান। সেখান থেকে অক্ষর প্যাটেল (২৬) ও কেএল রাহুল-কে নিয়ে দলকে জয়ের দোগরড়ায় পৌঁছে দেন কোহলি। জাম্পার বলে আউট হয়ে নিশ্চিত সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন বিরাট (৯৮ বলে ৮৪ রান)।
কোহলির আউটের পর পারফেক্ট ফিনিশার কেএল রাহুল
কোহলি যখন আউট হন তখন টিম ইন্ডিয়াকে জিততে হলে ৪৪ বলে ৪০ রান করতে হত। সেখানে থেকে অনবদ্য ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেন কেএল রাহুল (৩৪ বলে ৪২ অপরাজিত)। শেষের দিকে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আউট হয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া (২৪ বলে ২৮)। ২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন জাদেজা।
এবার নিয়ে চতুর্থবার ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া
এবার নিয়ে চারবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলবে ভারত। এর আগে ২০০০, ২০০২, ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলবে টিম ইন্ডিয়া। তার মধ্যে ২০০০ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয় সৌরভ গাঙ্গুলির টিম ইন্ডিয়া। ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় এমএস ধোনির টিম ইন্ডিয়া।
সৌরভ গাঙ্গুলি, এমএস ধোনি-র পর ভারতের তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের হাতছানি রোহিত শর্মার সামনে।