
দিল্লি, ৪ মার্চ: স্ত্রীকে (Wife) খুন করতে কেরল (Kerala) থেকে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) চলে গেলেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীকে খুন করে তামিলনাড়ু থেকে ফের কেরলে ফিরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন কৃষ্ণকুমার নামে এক মাঝ বয়সী ব্যক্তি। স্ত্রী সঙ্গীতাকে খুনের পর তাঁদের দুই মেয়ে আমিষা এবং অক্ষরা কার কাছে থাকবে, সেই ব্যস্থাও কৃষ্ণকুমার করেননি। ফলে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর অথৈ জলে পড়েছে মৃত দম্পতির দুই কন্যা।
রিপোর্টে প্রকাশ, সোমবার সকালে বছর ৫২-র কৃষ্ণকুমার কেরল থেকে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে যান স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। কোয়েম্বাটুরের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন সঙ্গীতা। দুজনের দেখা হওয়ার পর কৃষ্ণকুমার এবং সঙ্গীতার মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। যার জেরে প্রকাশ্যেই স্ত্রী সঙ্গীতাকে গুলিতে খুন করেন কৃষ্ণকুমার। গুলির শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে যান এবং সঙ্গীতার মৃতদেহ দেখতে পান।
স্ত্রীকে খুনের পর সঙ্গে সঙ্গে তামিলনাড়ু থেকে কেরলে ফিরে যান ওই ব্যক্তি। কেরলের বাড়িতে গিয়ে তিনি বাবার সামনেই নিজেকে শেষ করে দেন।
জানা যায়, কৃষ্ণকুমার এবং সঙ্গীতা বেশ কিছুদিন ধরেই পৃথক থাকছিলেন। তাঁদের বিচ্ছেদের কথাও চলছিল। সঙ্গীতার বন্ধুদের তাঁর প্রেমিক ভেবে নিতেন কৃষ্ণকুমার। যা থেকেই তাঁদের অশান্তির সূত্রপাত। এরপর সঙ্গীতা চাকরি নিয়ে তামিলানাড়ুতে চলে যান। তবে শেষরক্ষা হয়নি। কেরল থেকে তামিলনাড়ুতে গিয়েই স্ত্রীকে হত্যা করেন মালয়েশিয়া ফেরৎ কৃষ্ণকুমার।