পাটনা, ২৯ সেপ্টেম্বর: উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও টানা বৃষ্টির কারণে বন্যা বিহারেও (Bihar)। রবিবার পাটনায় (Patna) বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘরবাড়ি, দোকানপাট, হাসপাতাল ও অফিসে জল ঢুকেছে। অবিরাম বৃষ্টিপাত পাটনা শহরে রাস্তায় নৌকা নামানো হয়েছে উদ্ধারকাজের জন্য। ভাগলপুরে (Bhagalpur) একটি বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। গত দু’দিনের প্রবল বর্ষণে বিহারের একটি বড় অংশে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। রবিবারও বাতিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় কী কী করণীয়, তা নিয়ে রাজ্যের সবকটি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ও কনফারেন্সে বৈঠক করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
পাটনার নালান্দা মেডিকেল কলেজ (Nalanda Medical College) ও হাসপাতাল সহ বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল বন্যার জল ঢুকেছে। টুইটারে বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হাসপাতালের ওয়ার্ডে রোগীরা বিছানায় বসে আছেন। মুজফফরপুর, পশ্চিম চম্পারণ, পূর্ব চম্পারণ, দারভাঙা এবং ভাগলপুরের কয়েক ডজন গ্রামে জল ঢুকেছে। মুজাফফরপুর শহর প্লাবিত। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন , রাজ্যের সমস্ত নদীতে জলের স্তর বাড়ছে যার ফলে শহর ও গ্রামাঞ্চলে বন্যা হয়েছে। আরও পড়ুন: 'সামরিক শাসন পাকিস্তানের ঐতিহ্য', ফের পাকিস্তানকে তোপ ভারতের
এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, তাতে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাগলপুরে ভারী বৃষ্টিপাতের পরে দেওয়াল ভেঙে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য একটি ঘটনায় খাগৌলে একটি অটোরিকশায় গাছ পড়ে যাওয়ার কারণে চারজন মারা গেছেন। বৃষ্টিপাতের কারণে ট্রেন চলাচল, যান চলাচলের পাশাপাশি বিমান চলাচলেও প্রভাব পড়েছে। বারোটি দূরপাল্লার ট্রেন এবং বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সমস্ত জেলা কালেক্টরকে ত্রাণকার্য ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বিহারের ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। কয়েকটি জায়গায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
বিহারের পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশও। গত দু’দিনের তুমুল বৃষ্টিতে মৃত্যুর খবর আসছে ওই চারটি রাজ্য থেকেও। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ছয়। জম্মু-কাশ্মীরে মৃত্যু হয়েছে এক জনের।