পটনা, ২৩ এপ্রিল: নতুন জল্পনায় উত্তাল বিহারের রাজ্য রাজনীতি। ক দিন আগেই শোনা যাচ্ছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। আর তাঁর জায়গায় রাজ্যে এনডিএর-বড় শরীক বিজেপি (BJP)-র কোন নেতা মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন। সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন নীতীশ। এবার আরও বড় জল্পনা। গতকাল, বিহারের প্রধান দলনেতা তথা লালু পুত্র তেজস্বী যাদবের ডাকা ইফতার পার্টিতে হাজির হন নীতীশ। লালু, রাবড়ির বাড়িতে ডাকা ইফতারে শুধু হাজির থাকাই নয়, তেজস্বীর সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করতে দেখা যায় তাঁকে। লালু পুত্রের সঙ্গে নীতীশের হাসি দেখে অনেকেই বলেছিলেন, এই হাসিটাই গত বেশ কয়েকমাস ধরে উধাও বিজেপি-র সঙ্গে সরকার চালানো নীতীশের। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় জল্পনা। তাহলে কী নীতীশ আগের বারের মত এনডিএ ছেড়ে আবার মহাগঠবন্ধনে যোগ দেবেন? যে মহাগঠবন্ধনে আছে রাজ্যের দুই প্রধান অবিজেপি দল-আরডেজি, কংগ্রেস সহ বেশ কিছু ছোট স্থানীয় দল। এর আগে মহাগঠবন্ধনের হয়ে রাজ্যের গদিতে বসেছিলেন জেডি (ইউ) প্রধান।
২০২০ বিহার বিধানসভার ফলটা যেখানে দাঁড়িয়েছে, তাতে বিজেপি-র সঙ্গ ছেড়ে নীতীশ মহাগঠবন্ধনে যোগ দিলেই রাজ্য রাজনীতির ভোল পাল্টে যাবে। ৭৬টি আসনে জিতে বিহার বিধানসভায় একক বৃহত্তম দল আরজেডি। বিজেপি জিতেছে ৭৪টি-তে। সেখানে নীতীশের জেডি (ইউ)জিতেছিল ৪৩টি ও কংগ্রেস ১৯টি-তে। মোটের ওপর এনডিএ ১২৫টি আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছিল, আর ১১০টা আসন নিয়ে একেবারে ঘাড়ের ওপর নি:শ্বাস ফেলছে মহাগঠবন্ধন। আর তাই এনডিএ দলগুলির মধ্যে বিহারে সবচেয়ে বেশি আসন জিতলেও, ক্ষমতায় থাকতে জেডি(ইউ)-এর নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী করেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-রা। এবার নীতীশ এনডিএ ছাড়লেই খেলা ঘুরে যাবে লালুর দলের পক্ষে। আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার জন্য পাকিস্তানে গেলে ভারতে চাকরি নয়, ভারতীয় ছাত্রদের পরামর্শ দিল ইউজিসি ও এআইসিটিই
দেখুন টুইট
Many people are invited to such Iftar parties. What connection does it have with politics? We also hold an Iftar party and invite everyone to it: Bihar CM Nitish Kumar on attending Iftar at former Bihar CM & RJD leader Rabri Devi's residence in Patna yesterday pic.twitter.com/HmHZhULyxL
— ANI (@ANI) April 23, 2022
তবে নীতীশ কুমার সেসব জল্পনা উড়িয়ে বললেন,"ইফতার পার্টির সঙ্গে রাজনীতি মেলালে ভুল হবে। ইফতারে অনেককেই ডাকা হয়। আমরাও ইফতার পার্টিতে সবাকেই ডাকি। তার মানে সেটাতে রাজনৈতিক ব্যাখা খোঁজা ভুল হবে।