বেজিং, ২৮ জানুয়ারি: ডেল্টা (Delta) থেকে ওমিক্রন (Omicron) কিংবা বিএ.২, করোনার একের পর ভ্যারিয়েন্ট প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। ওমিক্রনের চেয়ে ডেল্টা অনেক বেশি প্রাণঘাতী হলেও, প্রথম ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। ডেল্টা, ওমিক্রন, বিএ.২ নিয়ে যখন জোর আলোচনা চলেছে, সেই সময় নিওকভ-এর অস্তিত্ব মিলল। করোনার এই স্ট্রেন অনেক বেশি প্রাণঘাতী। চিনের বেশ কয়েকজন গবেষক এবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন। করোনার এই নয়া স্ট্রেনের উৎসস্থলও কি দক্ষিণ আফ্রিকা? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গবেষকরা। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে নিওকভের খোঁজ শুরু করেছেন গবেষকরা।
কী এই নিওকভ ( NeoCov)? এমন প্রশ্নের উত্তরে গবেষকরা জানান, করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন এই স্ট্রেনের শক্তি অনেক বেশি। নিওকভ ছড়ালে আরও বেশি করে মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আসতে পারে। করোনার এই স্ট্রেনের সংক্রমণের মাত্রা যেমন বেশি, তেমনি এটি প্রাণঘাতী বলেও জানান গবেষকরা। সার্স কভ ২-এর মতো শক্তিশালী করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট বলে জানা যাচ্ছে। ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম সার্স কভ ২-এর অস্তিত্ব মেলে।
নিওকভ ছড়িয়ে পড়লে, প্রতি ৩ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হতে পারে বলেও আশঙ্কা গবেষকরা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিওকভের খোঁজ মিললেও, তা মানুষের মধ্যে এখনও সংক্রমণ ছড়ায়নি। বাদুড়ের শরীরে মিলেছে এই স্ট্রেন। ভবিষ্যতে নিওকভের প্রভাব মানুষের শরীরে পড়বে কি না, তা নিয়ে চলছে জোরদার গবেষণা।