Kamala Harris: ‘শৈশবে স্বাধীনতা সংগ্রামী দাদু পিভি গোপালনের সঙ্গে প্রাতঃভ্রমণ আমার মধ্যে প্রতিশ্রুতির বীজ বুনে দেয়’, কমলা হ্যারিস
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কমলা হ্যারিস (Photo Credits: ANI)

ওয়াশিংটন, ২৭ আগস্ট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নভেম্বরে। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের প্রতিনিধি হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সেনেটর কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)। বুধবার তিনি দাদু তথা প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী পিভি গোপালনকে স্মরণ করলেন। শৈশবে ভারতে থাকাকালীন সময়ে দাদু তাঁকে প্রাতঃভ্রমণে নিয়ে যেতেন। সেই সময় নাতনির সামনে তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মানবাধিকার সম্পর্কে আলোচনা করতেন। দেশের মানুষকে ভাল রাখার জন্য দাদুর সেই সংগ্রাম শিশু কমলার মনে গেঁথে গিয়েছিল। তাইতো বুধবার টুইটে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জানালেন, “সেই প্রতিশ্রুতি, জীবনের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরির লড়াই এখন আমার সামনে। বেলাভূমিতে দাদুর সঙ্গে সেই প্রাতঃভ্রমণ আমার মনে প্রতিশ্রুতির বীজ বুনে দিয়েছিল।”

এই টুইট বার্তার সঙ্গে ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার রেছেন কমলা হ্যারিস। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমার দাদু ও দিদা অসাধারণ মানুষ ছিলেন। অন্যান্য বছরের মতো আমরা ভারতে ফিরতাম। দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন আমরা দাদু। তিনি ছিলেন ভারতের স্বাধীনতার রক্ষক। যখন আমি শিশুকন্যা, সেই সময় বড় নাতনি হওয়ার কারণে আমাকে সঙ্গে নিয়ে সকালবেলা দাদু হাঁটতে বেরোতেন। দাদুর বন্ধুদের প্রত্যকেই দুর্দান্ত নেতা ছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য করা লড়াইয়ের গুরুত্ব নিয়ে তাঁরা বার্তালাপ করতেন। সমানাধিকারের জন্য যে লড়াই, তাঁর গুরুত্ব নিয়েও চলত আলোচনা। প্রতিটি মানুষেরই সানাধিকার প্রাপ্য সে তিনি যেখানেই জন্মান না কেন, যে পরিস্থিতিতেই তাঁর জন্ম হোক না কেন। দাদুর সঙ্গে ভারতের বেলাভূমিতে সেই প্রাতঃভ্রমণ আমরা মধ্যে সম্ভাবনা ও প্রতিশ্রুতির বীজ বুনে দিয়েছিল। আজ আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেদিনের সেই প্রাতঃভ্রমণের আলোচনাই আমাকে পথ দেখিয়ে এখানে পৌঁছে দিয়েছে। বেশ বুঝতে পারি।” আরও পড়ুন-Kim Yo-jong: কিম-জং-উন কি মৃত? উত্তর কোরিয়ার শাসনভারের রাশ এখন কিম-ইয়ো-জংয়ের হাতে, বললেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী

এর আগে চলতি মাসের গোড়ার দিকে মায়ের স্মৃতিচারণায় বিভোর হয়ে পড়েছিলেন কমলা হ্যারিস। চেন্নাইতে দাদুর সঙ্গে মর্নিং ওয়াকে যাওয়ার জন্য বোন মায়াকেও তাঁর মা পাঠিয়ে দিতেন। যাতে দুই বোনের মধ্যে ইডলির প্রতি একটা ভালবাসা তৈরি হয়। একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় কমলা হ্যারিস ভারতের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। মার্কিনি ও ভারতীয় বন্ডিং নিয়েও কথা বলেন তিনি।