আগামিকাল, সোমবার পাকিস্তান ন্যাশানাল অ্যাসম্বলিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। নজিরবিহীনভাবে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরান খানের অপসারণের পর, পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন শেহবাজ শরিফ। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী হিসেবে দেশের বিরোধী দলগুলি শেহবাজ শরিফের নাম যৌথভাবে ঘোষণা করা হল। পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর নেতা শেহবাজ শরিফ এখন দেশের প্রধান বিরোধী দলনেতার পদে আছেন। পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই হলেন এই শেহবাজ শরিফ। এর আগে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আগামিকাল, সোমবার তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন, এটা কার্যত নিশ্চিত।
গতকাল বহু চেষ্টা করেও শেষরক্ষা করতে পারলেন না ইমরান খান (Imran Khan)। মধ্যরাতে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে (Pakistan National Assembly) অনাস্থা ভোটে (No-Confidence Motion) হারলেন তিনি। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৭৪। ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। বরং ভোটাভুটি শুরু হওয়ার আগে অ্যাসেম্বলি ছেড়ে বেরিয়ে যান দলের সদস্যরা। পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি আস্থাভোটে হেরে অপসারিত হলেন।
দেখুন টুইট
The opposition parties have nominated Shehbaz Sharif of Pakistan Muslim League-Nawaz as their joint candidate for the prime minister’s election, scheduled on Monday (11th April): Pakistan's ARY News
(File photo) pic.twitter.com/wiIVa1oziP
— ANI (@ANI) April 10, 2022
নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজের পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সুসম্পর্ক রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে পাকিস্তানের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ন্ত্রণ করে পাকিস্তানি সেনা। এর আগে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন শেহবাজ। সেই সময় নানা প্রকল্পে চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থানের পর শেহবাজকে জেলে বন্দি করা হয় এবং পরে তাঁকে সৌদি আরবে নির্বাসিত করা হয়। ২০০৭ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার পর তিনি পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) পার্টির প্রধান হন।