ওড়াকান্দিতে মোদী

ঢাকা : দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে গিয়ে শনিবার ওড়াকান্দিতে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওড়াকান্দির (Orakandi) মন্দিরে হাজির হয়ে মতয়া আবেগে শান দেন মোদী।

মোদী বলেন, 'হরিচাঁদের কৃপায় আজ ওড়াকান্দিতে আসার সুযোগ পেয়েছি। হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরকে প্রণাম করছি। কেউ ভাবেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Indian PM) এখানে আসবেন। ভারতে (India) বসবাসকারী মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন অনুভব করেন, তেমন অনুভব আমারও হচ্ছে। ভারতের সব মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের হয়ে আমি এই পূণ্যভূমি স্পর্শ করেছি। মতুয়া (Motua) বাড়ির ভালবাসা পেয়েছি। আমি নিয়মিতভাবে হরিচাঁদ ঠাকুরের শিষ্যদের কাছ থেকে ভালবাসা পেয়েছি। ঠাকুরনগরে যখন যাই, তখন ওঁরা আমায় পরিবারের সদস্য হিসেবে ভালবাসা দেন। বিশেষ করে বড়মার ভালবাসা আমার জীবনের অন্যতম পাওনা।'

আরও পড়ুন :  PM Modi In Bangladesh : ভোট বাজারে মতুয়া আবেগে শান, ওড়াকান্দির মন্দিরে মোদী

মোদী আরও বলেন, ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির উপর অপার শ্রদ্ধা রয়েছে তাঁর। ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের তরফে বাংলাদেশের মানুষের জন্য তিনি ভালবাসা, শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছেন। এসবের পাশাপাশি বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় অনেক ভালবাসা, শুভেচ্ছা জানান মোদী (PM Modi)। ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রীর কথায়, দুই দেশের সরকার যেভাবে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করছে, শক্তিশালী করছে, সাংস্কৃতিকভাবে সেই ঠাকুরবাড়ি বহু দশক ধরে সেই কাজ করে আসছে।

 

এসবের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মনের সঙ্গে মনের। এই দুই দেশ পৃথিবীর শান্তি চায়। নিজেদের বিকাশ, প্রগতির চেয়ে গোটা পৃথিবীর সন্ত্রাস রোধ করে স্থিতিশীলতা চায়। এই পাঠ হরিচাঁদ ঠাকুরই সবাইকে দেন। মানবতা যে মূল্যবোধের কথা বলে, হরিচাঁদ ঠাকুর তার জন্যই নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলেও মত প্রকাশ করেন মোদী।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ওড়াকান্দিতে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সাহায্য করবে ভারত সরকার। এখানে মেয়েদের স্কুল গড়বে ভারত সরকার। ওড়াকান্দিতে প্রাথমিক স্কুলও (School) তৈরি করবে ভারত সরকার। ভারতের কোটি কোটি মানুষের তরফে এটি হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারতের মানুষের জন্য ওড়াকান্দির তীর্থযাত্রা যাতে আরও সহজ হয়, ভারত সরকার সে বিষয়ে সংকল্পবদ্ধ বলেও জানান নরেন্দ্র মোদী।