প্রতীকী ছবি (File Photo)

লাইনে হাতি এলে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য বসছে রেলের এলিফ্যান্ট ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম। এই প্রযুক্তির ট্রায়াল নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার মহড়া হচ্ছিল আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) রাজাভাতখাওয়া জঙ্গলে। উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব। আর তাঁর সামনেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সিস্টেম ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তার জন্য আনা হয়েছিল দুটি কুনকি হাতি। ট্রেনের হুইসেলের আওয়াজ শুনেই একটি হাতি পিছিয়ে যেতেই তাঁর পায়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বনকর্মীর।

মহড়া চলাকালীন ঘটে দুর্ঘটনা

মৃত সন্দীপ চৌধুরী একজন বনকর্মী ও প্রাক্তন সেনা আধিকারিক, তিনি নয়ডার বাসিন্দা। ঘটনার পর তড়িঘড়ি গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দমনপুর ইস্ট রেঞ্জের মধুগাছতলা এলাকায় ১৬২ নম্বর কিলোমিটার পিলারের কাছে জোনাকি নামক হাতিটিকে মাহুত পিঠে করে নিয়ে আসছিলেন। কথা ছিল তাঁকে লাইনের ওপর ওঠানো হবে এবং উল্টোদিক থেকে একটি ট্রেন আসবে। তখন ডিটেকশন সিস্টেমের অ্যালার্ম কাজ করছে কিনা, সেটি দেখার কথা ছিল রেলকর্তাদের। তবে হাতি রেললাইনে ওঠার আগেই শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারগামী একটি ট্রেন আসে সেই কারণে মাটিতেই দাঁড়িয়েছিল জোনাকি।

হাতির পায়ে পিষ্ট বনকর্মী

আর তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সন্দীপ। যদিও মাহুত অসিত কার্জির দাবি, তিনি সন্দীপকে কিছুটা সরে দাঁড়াতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। এদিক ট্রেনটি হুইসেল বাজানোয় হাতিটি ভয় পেয়ে যায়। আর তখনই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সন্দীপও ভয়ে পড়ে যায়। আর সেই সময় জোনাকি পিছনে সরে আসতে গিয়ে তাঁর ডান পা পড়ে সন্দীপের দেহে। আর তাতেই গুরুতর আহত হন বনকর্মী। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।