
New Zealand National Cricket Team vs India National Cricket Team, Champions Trophy 2025: নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল বনাম ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হবে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি আয়োজিত হবে। এর আগে একনজরে দেখে নেওয়া যাক কি বলছে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাস। ক্রিস কেয়ার্নস ২০০০ সালের আইসিসি নকআউট ফাইনালে সেঞ্চুরি করেন এবং নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম আইসিসি ট্রফি জয় পেতে ভারতের মন ভেঙে দেয়। চার বছর আগে ব্ল্যাক ক্যাপসরা আরও একবার মেন ইন ব্লুকে হারিয়ে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতেছিল। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশ নজরকাড়া ম্যাচ হয় যেখানে আইসিসির বেশিরভাগ ইভেন্টে কিউইরা ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। টিম ইন্ডিয়া অবশ্য আইসিসি টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর তিনটি জয় নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। David Miller Criticises Champions Trophy Scheduling: নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি নিয়ে কড়া সমালোচনা ডেভিড মিলারের
ওয়ানডেতে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের আইসিসি টুর্নামেন্টের ইতিহাস
২০০০ সালের নকআউট ফাইনাল এবং ডব্লিউটিসি ফাইনালে দুই দল মুখোমুখি হলেও ওয়ানডে ক্রিকেট এবং আইসিসি ইভেন্টে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ১৯৭৫ সাল থেকে ম্যানচেস্টারে ক্রিকেট বিশ্বকাপে শুরু হয়। ৬০ ওভারের প্রথম সীমিত ওভারের ম্যাচে আবিদ আলির ৭০ রানের ওপর ভর করে ভারত ২৩০ রান করে। জবাবে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক গ্লেন টার্নার অপরাজিত ১১৪ রানের ইনিংস খেলে ১৯৭৫ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৫৮.৫ ওভারে কিউইদের লাইন অতিক্রম করতে সহায়তা করেন।
চার বছর পর ১৯৭৯ সালে লিডসে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে আবারও ভারতকে পরাজিত করে নিউজিল্যান্ড। হেডিংলিতে ভারত তাদের নির্ধারিত ৬০ ওভারে মাত্র ১৮২ রান করতে পারে। জবাবে ব্রুস এডগারের ৮৪ রানের ওপর ভর করে ৫৭ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। এরপর ভারত এবং নিউজিল্যান্ড ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এবং সিরিজে মুখোমুখি হয়। ১৪ ম্যাচে দুই দলই ৭টি করে জয় পায়। ১৯৮৩ সালের পরবর্তী বিশ্বকাপের সাক্ষাতে ভারত ঘরের টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কিউইদের ১৬ রানে এবং নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে ৩ উইকেটে জয়লাভ করে।
১৯৮৭ বিশ্বকাপের পর থেকে ভারত জয়ের পথে এগিয়ে যায়, ৮ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে কিউইদের পরাজিত করে। তবে ১৯৯২ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ডুনেডিনে মেন ইন ব্লুকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে। এরপর ১৯৯৯ বিশ্বকাপে কিউইরা আবারও নটিংহ্যামে ৫ উইকেটে জয়লাভ করে। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয় দুই দল। যেখানে ভারত ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিরুদ্ধে তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে। ২০০০ সালের নকআউট ফাইনাল এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বের মাঝে ভারত এবং নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল সহ বিশ্ব মঞ্চে আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিল। ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপের পর ২০১৯ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে আবারও মুখোমুখি হয় ভারত ও নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্ল্যাক ক্যাপসরা ভারতকে ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মাত্র ২৩৯ রানে আটকে দিয়ে জয় তুলে নেয়। চার বছর পর শেষ চারে কিউইদের বিদায় জানিয়ে সেই হারের প্রতিশোধ নেয় ভারত। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার দল প্রথমে ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটের জয় পায়। এরপর আবারও সেমিফাইনালে কিউইদের বিরুদ্ধে ভারতের ৭০ রানের জয় পায় ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও এটি তাদের দ্বিতীয় সাক্ষাতে। বরুণ চক্রবর্তীর ৫ উইকেট এবং শ্রেয়স আইয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের সুবাদে ভারত ব্ল্যাক ক্যাপসদের ৪০ রানে পরাজিত করে।
ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড হেড টু হেডঃ সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ১১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। যেখানে কিউইরা ৫০টি এবং ভারত ৬১টি ম্যাচে জয় নিয়ে অনেক এগিয়ে। এছাড়া ১টি ম্যাচ টাই হয়েছে এবং ৭টি ম্যাচ কোনও ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে।