Representative Image (Photo Credit: Twitter)

বছর চারেক আগে ধূপগুড়িতে (Dhupguri) চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় দিল জলপাইগুড়ি পকসো আদালত। সমস্ত তথ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে আদালতের রায় ধর্ষণ নয়, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন অভিযুক্ত। সেই কারণে বিচারপতি অভিযুক্তকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকার জরিমানা ও ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যে ঘোষণা করেন। আদালতের রায়ে খুশি নির্যাতিতার পরিবার।

হাসপাতালে চলে নাবালিকার চিকিৎসা

জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালের ৩ অগাস্ট বিকেলে বাড়ির সামনে খেলছিল কিশোরী। তখন রাস্তার উল্টোদিকের বাড়িতে থাকা এক ভাড়াটে যুবক নাবালিকাকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ঘরে ডাকে। তারপর তাঁকে মারধর করে জামাকাপড় খোলায় এবং গোপনাঙ্গে হাত দেয়। এরপর পরিবারের সদস্যকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে বাড়িতে পাঠায়। রাতের দিকে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন যে মেয়েটি যৌন হেনস্থার শিকার। তারপরেই নির্যাতিতা তাঁর দিদিকে কাঁদতে কাঁদতে সমস্ত কিছু জানায়।

প্রতিবেশী যুবকের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার নাবালিকা

এরপর ৬ অগাস্ট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। তারপর গ্রেফতার করা হয় প্রতিবেশী যুবককে। সেই মামলায় দীর্ঘ ৪ বছর ধরে শুনানি চলে। এরপর মেডিকেল রিপোর্ট, সমস্ত তথ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে জানা যায় মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়নি বরং তাঁকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তারপরেই আজ এই মামলার রায় দেয় আদালত।