Representational Image (Photo Credits: PTI)

বেজিং, ১৮ সেপ্টেম্বর: সপ্তাহ তিনেক আগেও চিন (China) ঘোষণা করেছিল করোনা সংক্রমণের (Covid19) নতুন কেস নেই। এক বিলিয়ন মানুষকে কোভিডে সম্পূর্ণ টিকাকরণ করে ফেলার দাবিও করেছে ড্রাগনের দেশ। 'জিরো কোভিড' মিশনে সফলতার জন্য টেস্টিং, ট্রেসিং আর টিকাকরণে নিজেদের সফলতার কথা বলছিল চিন। কিন্তু কোথায় কী! এখন চিনে ফিরেছে করোনার ঢেউ। ডেল্টা প্রকৃতির (Delta Variant) করোনার কেসও আসছে অনেক। চিনের বেশ কিছু প্রদেশে কোভিড পজেটিভিটি রেট দারুণরকম বেড়ে গিয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। কোভিডে চিনা ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে, চিনে আবার ছুটির মরসুম। ছুটির মরসুমে নাগরিকদের ঘুরতে না গিয়ে, ঘরবন্দি থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

অথচ চিনের দাবি, তারা দেশের বেশিরভাগ নাগরিককেই টিকাকরণ করে ফেলেছে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি চিনা ভ্যাকসিন সেভাবে কার্যকরী নয়! চিনের দক্ষিণ অংশে যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে, তাতে লকডাউন করতে বাধ্য হয়েছে প্রশসান। অথচ সেখানেই সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, চিনের দাবি তাদের দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। আর চিনা কোভিড টিকার কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ। আরও পড়ুন: Afghanistan: তালিবানের ভয়, দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাঁচলেন আফগান মহিলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা

ফুজানের এক কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে ৩৬ জন খুদে পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ স্কুল পড়ুয়া নিভৃতবাসে আছে। এক অঞ্চলে শুধু তিন হাজার জন কোয়ারিন্টনে আছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে উহানের মত ফুজিয়ান না আবার চিনের করোনার 'নতুন এপিক সেন্টার' হয়ে যায়।

ফুজিয়ানে করোনা সংক্রমমণের ভয়ানক বৃদ্ধি ও লকডাউন নিয়ে চিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেটা শুধু ওই জায়গাতেই সীমাবদ্ধ। দেশের বাকি অংশে করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।